Image description
সহযোগীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’র মাধ্যমে সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছেন আলোচিত সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। চেষ্টা চালাচ্ছেন নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পত্তিগুলো হস্তান্তরের। ঘনিষ্ট সহযোগী এবং বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাধ্যমে নিয়েছেন সম্পত্তি বিক্রির উদ্যোগ। এমন তথ্য পেয়ে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নেয়া মো: আবুল কালাম আজাদের এনআইডি ব্লক করে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতের অনুমোদনক্রমে গতকাল মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে গতকাল সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো: জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। দুদকের উপ-পরিচালক মো: আলমগীর হোসেন ওই ব্যক্তির এনআইডি ব্লক এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সামিট গ্রুপ এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে জানা যায়, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে থাকা তাদের নামীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদের মালিকানা নিম্নোক্ত ব্যক্তির (আবুল কালাম আজাদ) মাধ্যমে হস্তান্তরের নিমিত্ত তাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়েছেন। ওই ব্যক্তি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে আজিজ খান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তরের পাঁয়তারা করছেন। এ ছাড়া, তার একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের আলামত নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

এ অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মুহাম্মদ আজিজ খান এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর রোধকল্পে এবং তাদের অপরাধমূলক কাজের আলামত রক্ষার জন্য তার জাতীয় পরিচয়পত্র স্থগিত বা ব্লক করা ও বিদেশগমন রহিতকরণ একান্ত প্রয়োজন।