Image description

যশোরে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে জুয়েল খান নামের হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়েছেন। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে হ্যান্ডকাপ পরানো ছিল কি না জানা যায়নি। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন বলেন, ‘জুয়েলকে খোঁজা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’

এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাসার, কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাতসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আদালতে ছুটে যান। একই সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম জুয়েলকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, পলাতক আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। জেলার সকল থানা ও পাশ্ববর্তী জেলার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়টা জানানো হয়েছে। এছাড়া যশোর যেহেতু সীমান্তবর্তী জেলা, ফলে সীমান্ত ব্যবহার করে যাতে পালিয়ে না যেতে পারে; সে বিষয়েও পুলিশ সর্তক রয়েছে। 

তিনি জানান, আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা, সেই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পলাতক জুয়েল খান মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি ২০২১ সাল থেকে কারাগারে বন্দী। বাঘারপাড়ার বিচারাধীন হত্যা মামলায় যুক্তিতর্কে উপস্থাপনের ধার্য দিনে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

পুলিশ জানায়, মাগুরার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইকচালক আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি জুয়েল। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে আল-আমিনের ইজিবাইক ভাড়া করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে এনে তাঁকে হত্যা করেন এবং ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেন জুয়েল ও তার সহযোগীরা।

এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় একটি মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর র‍্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল টিম জুয়েলসহ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তাদের বাঘারপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই জুয়েল কারাগারে বন্দী ছিলেন।