
এক সময়ের নির্মল পরিবেশের প্রতীক ছিল টঙ্গীর তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের ঐতিহাসিক পুকুরটি। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের অজু, গোসল ও বিশ্রামের জন্য ব্যবহৃত এই পুকুর আজ পরিণত হয়েছে এক বিশৃঙ্খল ময়লার ভাগাড়ে। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, মাদ্রাসার ক্যান্টিন ও আশপাশের এলাকা থেকে নিয়মিতভাবে ফেলা হচ্ছে পচা-বাসি খাবারসহ নানা ধরনের আবর্জনা। ফলে পুকুরের পানি হয়ে উঠেছে দূষিত ও দুর্গন্ধময়। এতে একদিকে যেমন হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য, অন্যদিকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে অসহ্য দুর্গন্ধ।
এ বিষয়ে কথা হয় মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা জানান, দুর্গন্ধের কারণে ক্যান্টিনে বসে খাওয়া-কামরাও দুঃসহ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মারজু বলেন, “পুকুরটি আমাদের জীবনের একটা অংশ ছিল। এখন দুর্গন্ধে ক্যান্টিনে বসে খেতেও পারি না। অনেকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।”
পুকুরপাড়ে গড়ে ওঠা বিশাল ময়লার স্তূপ শুধু পরিবেশই নষ্ট করছে না, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও করছে দুর্বিষহ। আগে যেখানে এই পুকুরে অজু ও গোসল করত ছাত্ররা, এখন সেখানে কেউ যেতে চায় না।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশবাদীরা বলছেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক পুকুরের এমন বেহাল দশা অত্যন্ত দুঃখজনক। শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, পুরো এলাকার পরিবেশ রক্ষায় পুকুরটি সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।
এবিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. হিফজুর রহমান জানান-"আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ময়লার স্তূপ সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।"
শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে পুকুর থেকে ময়লা সরিয়ে আগের স্বচ্ছতা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনবে। এটি শুধু একটি জলাধার নয়। টঙ্গীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। তাই এর রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব।