
একজন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে আক্রমণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রচারণার পরও আইন-শৃংখলা বাহিনীর রহস্যজনক নীরবতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে রাজপথ বন্ধ করে আন্দোলন করছেন। এ আন্দোলন নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা যখন নীরব; তখন অন্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হয়েও আন্দোলনকারীদের বার্তা দিয়েছেন ‘আপনাদের ন্যায়সংগত দাবি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করবো, প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও বসার ব্যবস্থা করবো ; আমি আপনাদের কাছে আসছি’। আন্দোলনকারীদের এই বার্তা দিয়েই রাতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ছুটে যান কাকরাইলে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে। উপদেষ্টাকে পেয়ে আন্দোলনকারীরা তার কথা শোনার জন্য উদগ্রীব। উপদেষ্টার পিএস, এপিএস, গানম্যানদের সামনেই শিক্ষকরা উপদেষ্টার হাতে হ্যান্ডমাইক তুলে দেন।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন। আপনারা সবাই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছিলেন। তবে সাবধান এ আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে গেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো বক্তব্য শুনছিলেন। হঠাৎ পাশ থেকে কেউ একজন উপদেষ্টার মাথায় পানির ভরা বোতল ছুঁড়ে মারেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন সবাই। আহত উপদেষ্টা ‘আমি আর বক্তব্য দিব না’ বলেই চলে যান। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ঢিল ছোঁড়া ছাত্রকে অনুপ্রবেশকারী শিবির হিসেবে অভিহিত করেন। ‘শিবিরের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে প্রতিশোধ নিলো এটা আমি বুঝি’ বলে আক্রান্ত হওয়ার অনুভূতি জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা ভাইরাল। তীব্র প্রতিবাদ হচ্ছে; কেউ কেউ রাজপথে আন্দোলনের নামে অরাজকতা বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। রাজপথে আন্দোলনকারীদের মাঝে মন্ত্রী বা মন্ত্রীর পদমর্যাদার উপদেষ্টা ছুটে গিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করে সপক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন এমন নজীর খুব বেশি নেই। অথচ মাহফুজ আলমের উদারতার সুযোগ নিয়ে যে অপকাÐ করা হলো তা নজীরবিহীন।
শুধু এটাই নয়, মাহফুজ আলমের দু’টি বক্তব্য নিয়ে জামায়াত ও শিবির তার উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের ঝড় তুলেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগের আন্দোলনের ‘গোলাম আজমের বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নেই’ এবং ‘জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেয়া’ ইস্যুতে ছাত্রজনতার মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে মাহফুজ আলম সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’টি স্ট্যাটাস দেন। ‘মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নেই’ এবং ‘একাত্তরের গণহত্যার সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে’। মাহফুজের এই বক্তব্যের পর বামরা নীরব থাকলেও জামায়াত-শিবিরের টার্গেট হয়ে উঠেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাহফুজের বিরুদ্ধে বিষোদগারের পাশাপাশি তাকে ‘অবৈধ উপদেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় জামায়াত অনুসারী কয়েকজন ইসলামী বক্তা বিভিন্ন জলসা ও ওয়াজ মাহফিলে মাহফুজের বিরুদ্ধে বিষ্ঠা উগলে দিচ্ছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলার সময় উপদেষ্টা মাহফুজের মাথার ওপর পানির বোতল দিয়ে আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে এমনটা জানা যায়নি। তার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বাদানুবাদ চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে জীবননাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের সময় আক্রমণের ঘটনা প্রমাণ দেয় মাহফুজ আলম ‘টার্গেটে’ পরিণত হয়েছেন। অনেকের ধারণা পাবলিক পরিসরে তার জীবনঝুঁকি বাড়ছে।
এটা আর গোপন নয় যে, মাহফুজ আলমকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণার বীজ ছড়ানো হচ্ছে। মাহফুজ আলম গণ-অভ্যুত্থানের একজন অগ্রগামী চিন্তক। বিভিন্ন মত ও পথ মিলিয়ে হিন্দুত্ববাদী ভারত ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিন্ন বাংলাদেশী নিশানা নির্মাণ করতে চান। তার এ চিন্তা ও প্রকাশ মূলত তাঁকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। মাহফুজের ভাষায় ‘শিবির তাঁকে গ্রহণ করতে পারছেন না’। শিবিরের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলে তা বোঝা যায়। একদিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে শিবিরের অপপ্রচার; অন্যদিকে বিভিন্ন দাবি দাওয়ার নামে রাজপথে একের পর এক বিশৃংখলা চলছে। রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারী মানুষ বুঝতে পারেন না কোন দিন কোন রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলদের বেখেয়ালি ভাব। ফলে রাজধানীর মানুষকে ঘর থেকে বের হলেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে। একটি সড়ক বন্ধ করলে কিছুক্ষণের মধ্যে গোটা মহানগরে যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খানের ‘সংকটের তিন চেহারা : রাষ্ট্র, জাতি, জনগণ’ শিরোনামে বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘সংকটের তিন চেহারা : রাষ্ট্র, জাতি ও জনগণ’ যথার্থ শিরোনাম। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে অল্পদিনের মধ্যে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় বসবে। ভোট দেয়ার সে স্বপ্ন ক্রমান্বয়ে ধূসর হয়ে যাচ্ছে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ড. ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণে মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে এখন যাই হোক এখন আর অনিয়ম হবে না। দুর্নীতি থাকবে না। হাসিনার অলিগার্কমুক্ত প্রশাসন হবে এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সবকিছু হবে। কিন্তু এনজিওকর্মী বিদেশী নাগরিকদের উপদেষ্টা ও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোয় প্রত্যাশিত নিরপেক্ষতা উবে গেছে। কেউ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করে দাবি আদায় করছে; কেউ সচিবালয়ে প্রবেশ করে দাবি আদায় করছে; আবার কেউ রাস্তায় নামলেই পুলিশ লাঠিপেটা করছে। গত ৯ মাসের রাজপথ থেকে শুরু করে সচিবালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেভাবে নৈতিক-অনৈতিক আন্দোলন হচ্ছে তা এক কথায় নজীরবিহীন। অন্তর্বর্তী সরকারও পছন্দের লোকদের আন্দোলনকারীদের দাবি দ্রæত মেনে নিচ্ছে আর অপছন্দের লোকদের নিবৃত্ত করছে। জনগণের সুবিধা অসুবিধা দেখছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থা অনেকটা সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার মতো। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দেশে সরকার আছে কিনা তাই বোঝা সত্যিই কঠিন।
মূলত গত বছরের আগষ্ট মাসে এইচএসসির অর্ধেক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ঢুকে পড়ে। তাদের দাবি, স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। রহস্যজনকভাবে তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়। ওই ঘটনায় মানুষের মনে হয়েছিল দেশে সরকার বলে কিছু নেই। অতঃপর আনসার বাহিনীর সচিবালয় ঘেরাও, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা, পাহাড়ে অশান্তিসহ অনেক ধরনের আন্দোলন করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়েছে। সেগুলো সামাল দিলেও রাজপথের আন্দোলন সামাল দিতে পারছে না বা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। হঠাৎ হঠাৎ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া নেতারা রাজপথে নামছেন। ছাত্ররা যেন সরকারি দল হয়ে গেছে। তাদের দেখাদেখি হাসিনার অনুগত রিক্সালীগ, নার্সলীগ, আফসোস লীগ, প্রশাসনে বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারী লীগ সুযোগ বুঝে আন্দোলনে নেমে রাস্তা আটকে দিচ্ছে। ফলে নাগরিকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায়ই দিন। গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগে থাকা তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলনে নামেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সে আন্দোলন শাহবাগ পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে জামায়াত, শিবির, হেফাজতসহ বিভিন্ন দলমতের অনুসারী নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সমর্থন জোগান।
এ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের সময় শাহবাগ থেকে এনসিপি নেতারা বিএনপিকে আন্দোলনে শরীক হওয়ার প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু বিএনপি সেখানে যায়নি এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘বিএনপিকে কেন শাহবাগে যেতে হবে?’ বিএনপি প্রথম থেকেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু নতুন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিজেদের সাংগঠিনক কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনায় সংস্কারের পর নির্বাচন দাবি করছে। তবে দলটি আওয়ামী লীগের বিচার, হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা, হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান থেকে এক চুলও নড়েনি। তবে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির এই মতভেদ ও দূরত্ব দেখে সুযোগসন্ধানী জামায়াত নেতারা এনসিপির প্রতিটি আন্দোলনে সমর্থন, অংশ গ্রহণ করছে এবং সুর মেলাচ্ছে। শুধু তাই নয়, জামায়াতের আমির ধারাবাহিক ভাবে স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি মূলত নির্বাচন ছাড়া অন্যকিছু ভাবছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিদেশীরা বিনিয়োগে আগ্রহী না হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও চায় নির্বাচিত সরকার দ্রæত ক্ষমতায় আসুক এবং বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাক। কিন্তু জামায়াত চায় নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে টপকে ক্ষমতায় যেতে। সে জন্যই জামায়াতের আমির ‘দিল্লির বিরোধিতা জামায়াতের রাজনীতি নয়’, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা যে কোনো পোশাক পরতে পারবেন’ বক্তব্য দিচ্ছেন। হাসিনার অলিগার্ক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করছে। শুধু তাই নয়, অল্প পানিতে পুঁটি মাছ যেমন করে দলটির কয়েকজন নেতার আচরণ অনেকটা তেমনই।
ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি এনসিপি ও অন্যান্য ইসলামী ধারার দলগুলোকে নিজেদের কাছে টানতে নানান বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ছাত্রদের নতুন দল এনসিপির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একের পর এক ইস্যুতে কথাবার্তা বলছে। এতে করে জামায়াত-শিবির নেতারা ধরেই নিয়েছিলেন এনসিপির নেতাদের অনভিজ্ঞ; তাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়েই বিএনপিকে ঠেকাতে হবে। এনসিপি নেতাদের যেভাবে বলা হলে তারা সে ভাবেই চলবে। ফলে শাহবাগে ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাই নাই’ শ্লোগান জায়েজ করার চেষ্টার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেয়া হয়। জামায়াতের চালাকি এনসিপির নেতা ও শিক্ষার্থীরা ধরতে পেরে কঠোর অবস্থান নেন। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ‘মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নেই’ এবং ‘একাত্তরের গণহত্যার সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে’ স্ট্যাটাস দেন। মাহফুজ আলম ওই বক্তব্যে কোনো দল বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেনি। তারপরও তাকে নিশানা করা হলো কেন?
অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ৯ মাস পর কয়েকটি স্পটে সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়। এর আগে গত ১০ মে বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মিছিল, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন চলছে; সভা সমাবেশে ওই উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে; হাজার হাজার মানুষের সামনে উপদেষ্টাকে আক্রমণ করা হয়েছে তারপরও নীরবতা কেন? ঢাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অন্য যে কোনো রাস্তা যে কেউ যখন খুশি তখন বন্ধ করে দিতে পারবে?