
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন , প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা , পরিবেশদূষণ রোধ ও বায়ুমান উন্নয়ন , গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা , সবার জন্য উপযোগী গণপরিবহন সম্প্রসারণ , যানজট হ্রাস , নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি , জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবে ।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘ বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার ( বিসিএপি ) ফেজ ওয়ান ' প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তিনটি সংস্থা কাজ করবে । এর মধ্যে আছে পরিবেশ অধিদপ্তর , বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ ) এবং ডিটিসিএ । বিআরটিএ কাজ করবে বাস সেক্টরের উন্নয়নে , ডিটিসিএ তার অংশে সিটি বাস সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ইলেকট্রিক বাসের প্রবর্তন এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও কারিগরি সহায়তা , সক্ষমতা বৃদ্ধি , আইনগত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়ন করবে । সড়ক বিভাগের প্রকল্প প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে , প্রকল্প শেষ হওয়ার পর এসব ইলেকট্রিক বাসের অপারেশনের খরচ কে দেবে, সেটা নিয়ে একটি প্রশ্ন তৈরি হয় । প্রকল্পের পাঁচ বছর পর সরকার এসব বাস পরিচালনায় ভর্তুকি দেবে কি না , সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি ।
এ ছাড়া এই প্রকল্প কতটা সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে , সে জন্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা । পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বুয়েট ) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড . শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন , ‘ কী কারণে নগর পরিবহন হচ্ছে না , সেটা ধরতে না পেরে যখন আবার নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে , এটা অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে যাবে । বিনিয়োগবিহীন বাস সার্ভিস কীভাবে চলতে পারে , তার উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও যাঁরা বিনিয়োগের চিন্তা করছেন , তাতে জনগণের পয়সার অপচয় হবে । আগের সরকারও বিনিয়োগের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করত । অন্তর্বর্তী সরকারও সেই পথে হাঁটছে । '