
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির আবহে ভারতের পূর্বাঞ্চলে নতুন রণকৌশল শুরু করেছে চীন। সম্প্রতি জানা গেছে, সমুদ্রে ভারতের দিকে এগোচ্ছে চীনের একটি গবেষণা জাহাজ।
ভারতের এক সংবাদমাধ্যম জানায়, চীনের এই ‘গুপ্তচর’ জাহাজটি বর্তমানে মালাক্কা প্রণালী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে চীনের এমন অনেক জাহাজ এই এলাকায় হাজির হয়েছে। গবেষণার আড়ালে সামরিক অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে এই চীনা জাহাজ।
ওপেন সোর্স গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ডেমিয়েন সাইমন বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, চীনা জাহাজটি মালাক্কা প্রণালী দিয়ে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণের দিকে যাচ্ছিল বলে মনে হচ্ছে। দা ইয়াং হাও নামের জাহাজটিকে ২০১৯ সালে কমিশন করেছিল চীন। এটি গবেষণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত জাহাজগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয় এবং চীন এটিকে 'ফ্লোটিং ল্যাব' নামেও ডাকে।
উল্লেখ্য, ভারতের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে চীনা যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার করে পাকিস্তান। যার সামনে অসহায় হয়ে পড়ে ভারত। এ আবহে বঙ্গোপসাগরে চীনা জাহাজের আগমন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, চীনের বহরে দ্য ইয়াং হাওয়ের মতো আরও চারটি জাহাজ রয়েছে এবং বহরের আরও তিনটি জাহাজ ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের চারপাশে দেখা যাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জাহাজটি সমুদ্রের তলদেশের ম্যাপিং করতে সক্ষম। একই সঙ্গে এটি ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং করতে পারে। পাশাপাশি সাবমেরিনের রিডিংও করতে পারে।
দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে জিয়াং ইয়াং হং-৩ কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালিয়েছিল। এ সময় জাহাজটি মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে দুইবার নোঙর করে। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঠিক আগে বেশ কয়েকদিন বঙ্গোপসাগরে জিয়াং ইয়াং হং-১ নামের জাহাজটি দেখা গিয়েছিল। একটা সময় জাহাজটি বিশাখাপত্তনম থেকে মাত্র ২৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল।