Image description

নগর বাউল জেমসের টাঙ্গাইলের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক পড়েছিল। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন কয়েকজন নারী।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে এমন ঘটনা ঘটে। মোবাইল চুরির ঘটনায় আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন থানায় জিডি করেছেন।

জানা যায়, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়ামশিপের আয়োজন করে। এই চ্যাম্পিয়ামশিপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। গতকাল সন্ধ্যায় ট্রফি উন্মোচন হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন টুকু। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

রাত ৯টার দিকে মঞ্চে ওঠেন জেমস। দর্শকদের তিনি বেশ কয়েকটি গান শোনান। এ সময় স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। কনসার্টের একপর্যায়ে কয়েক ’শ মোবাইল ফোন চুরি হয়। সেখানে এনটিভি ডিজিটালের সদর ও মির্জাপুর প্রতিনিধির মোবাইল ফোনও চুরি হয়েছে।

কনসার্টে নারীদের শ্লীলতাহানির বিষয়ে ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করেছেন। এ নিয়ে জেলায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের কারণে সাধারণ দর্শকদের অনেকে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়।

সাংবাদিক নাঈম খান রাব্বি বলেন, ‘পেশাগত কাজের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু জেমসের কনসার্টে আমার মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। এছাড়া আমার ভাগ্নেরও ফোন হারিয়েছে।’

টাঙ্গাইলের ক্রীড়া সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য সাংবাদিক হিসেবে ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে ফিরে এসেছি। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও টিকিট ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়নি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’

প্রিন্স কাব্য নামের এক দর্শক বলেন, ‘স্টেডিয়ামে জেমসে কনসার্টে যাচ্ছিলাম। স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করার সময় হঠাৎ করে কয়েকজন ইচ্ছে করেই ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। ভিড়ের মধ্যেই একজন আমার পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। আমি পরবর্তীতে থানায় গিয়ে জিডি করি। কিন্তু চমক হলো থানায় গিয়ে দেখি প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আসছে মোবাইল হারানোর জিডি করতে।’

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, ‘পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল। মোবাইল চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন জিডি করেছেন।’