Image description

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। ছাত্রজীবনে প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দলে যোগ দেন তিনি। পরে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এখন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি।

 

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে ক্লান্ত করে শেষ প্রান্তে নিয়ে এসেছে বিএনপি। আমরা নিহত-আহত হয়েছি, কারাগারে গিয়েছি, মার খেয়েছি। তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতন- এই একটা শর্তে আমরা সবাই এক হয়েছিলাম। জুলাই আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বাকযুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। এটি করতে না পারলে সবকিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে।

 

নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

 
 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। ছাত্রজীবনে প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দলে যোগ দেন তিনি। পরে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এখন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। চলমান রাজনীতি ও সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে নয়া দিগন্তের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

 
 

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নয়া দিগন্তের অনলাইন প্রতিবেদক অসীম আল ইমরান।

 
 

প্রশ্ন: আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রস্তুতি কেমন?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: ১৬ বছর আন্দোলনই একটা রাজনৈতিক দলের নির্বাচনের প্রস্তুতি। আন্দোলনের যারা সফল হয়, নির্বাচনেও তারা সফল হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক মনোভাবে একটি গোষ্ঠী বেড়ে উঠেছে। এখানে ভোটের প্রস্তুতি তো হয়েছে। ১৯৬২ সাল থেকেই রাজনীতির মাঠের আমি একজন সক্রিয় কর্মী। আমি মনে করি, মাঠের জনগণের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে হবে। দলীয় জনসভায় এখন আগের মতো সাধারণ মানুষ আসে না। তাই জনগণের ভাষা বুঝতে হলে তৃনমূলে যেতে হবে। নির্বাচনের তফসিল না দেয়া পর্যন্ত আমাদের পদ্ধতি বা প্রক্রিয়াগত প্রস্তুতি যেতে পারছি না। ৩০০ আসনের জন্য ৩০০ জনকে সিলেক্ট করতে হবে। আমাদের ওইটুকু প্রস্তুতি বাকি রয়েছে। যারা নির্বাচনে সহজে জয়লাভ করে বেরিয়ে আসতে পারবে তাদেরকে বাছাই করা হবে।

প্রশ্ন: মনোনয়ন ঘিরে নেতা-কর্মীদের কোন্দল বাড়ছে, কিভাবে সামাল দেবে বিএনপি?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: প্রতিটি এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ থেকে ২০ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্রদল-যুবদল থেকেও নতুন প্রার্থীরা উঠে এসেছেন। এছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা প্রার্থী ছিলেন, তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ছিলেন তারাও আছেন। সবাই নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সারাদেশে বিএনপির কমপক্ষে ৩ হাজারের অধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। ফলে বিএনপির নেতা-কর্মী বেশি, তাই প্রতিযোগিতা ও কোন্দল বেশি। কিন্তু নির্বাচনে নামলে একদিন-দুইদিন অভিমান থাকবে, পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। কারণ যে নামবে, আগামীতে সে বিএনপি থেকে হারিয়ে যাবে।

প্রশ্ন: গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির অবদান কতটুকু?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিএনপি যে নেতৃত্ব দিয়েছে, আমরা কৌশলগত কারণে স্বীকার করতে পারছি না। বিএনপি সহযোগিতা করেছে মাঝে মাঝে ওরা (ছাত্ররা) শিকার করে, আবার করে না। মাঝে মাঝে বলে গুলশান থেকে বালু ট্রাক সরাতে পারেনি। তবে গত ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে ক্লান্ত করে শেষ প্রান্তে নিয়েই এসেছে বিএনপি। আমরা নিহত-আহত হয়েছি, কারাগারে গিয়েছি, মার খেয়েছি- এই রক্তের কী কোনো মূল্য নেই। বিএনপি ভালো না মন্দ তা বিচার করবে জনগণ।

প্রশ্ন: নির্বাচনে জোট নাকি এককভাবে অংশ নেবে বিএনপি?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: আমাদের মুল অপজিশন (প্রতিদ্বন্দ্বি) দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন করেছে। স্বৈরাচারের পতন- এই একটা স্বার্থ, একটা শর্তে আমরা এক হয়েছিলাম। আন্দোলনের স্বার্থে আমাদের সাথে ডান-বাম, কট্টর বাম ও ইসলামপন্থী দলও ছিল। আমরা সংস্কার প্রস্তাবগুলো সব দলের কাছে পাঠিয়ে মতামত নিয়েছিলাম। সবার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই আন্দোলন নেমেছিল। তবে যুগপৎ আন্দোলন সব দল সমান ভূমিকা রাখতে পারেনি। জোটগতভাবে নির্বাচন করবো- এই প্রতিশ্রুতি এখনই দিতে পারছি না। জোট হবে কিনা এটা ভাবার সময় এখনো আসেনি। কিন্তু বিএনপি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহলে সবাইকে নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করব। দেশের স্বার্থে সবাই একমত হতে না পারলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সফল হবে না।

প্রশ্ন: জুনের মধ্যে নির্বাচন না হলে বিএনপি কি করবে?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচন হবে তার কোনো পথযাত্রা নেই সেখানে জুনে নির্বাচন হবে তার নিশ্চয়তা কী? নির্বাচনের পদ্ধতিগত বিষয়ে এখনো সরকার জাতির সামনে পরিষ্কার করছে না। প্রধান উপদেষ্টা এক কথা বলেন, আর উপদেষ্টা ও প্রেসসচিব বলেন আরেক কথা। কার কথা সঠিক- তা নিয়ে জনগণ বিপদে পড়েছে। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, আবার অবিশ্বাস করলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তবে পারস্পারিক পেক্ষাপট, অবস্থান এবং জনগণের চোখ-মুখের ভাষা ও তাদের পালস্ বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এখন চরম পরীক্ষার মধ্যে রয়েছেন। ওনার আগমনটা যেমন হয়েছে, প্রত্যাবর্তন তেমন না হলে জাতির কি হবে?

প্রশ্ন: গত ১৬ বছর বিএনপির ওপর জুলুম-নির্যাতন চলেছে, আগামীতে বিরোধী দলের প্রতি আচারণ কেমন হবে?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: যে কারণে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, সেই আচারণের নিশ্চিয়ই পরিবর্তন হবে। আমরা ব্যক্তি নয়, অপরাধ খুজবো। আমরা অপরাধীর বেলায় কে বিএনপি, কে জামায়াত বা অন্য দলের তা দেখা হবে না। অর্থাৎ আইনের দৃষ্টিতে যে অপরাধী তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে, আদালত বিচার করবে।

প্রশ্ন: সংস্কার প্রশ্নে জামায়াত-এনসিপি’র (জাতীয় নাগরিক পার্টি) সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা না হলে পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াতে পারে?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: আগাম বলা কঠিন। আমরা যে পথ পাড়ি দিতে পারব, অন্যরা সে পথ নাও পাড়ি দিতে পারে। তবে সংস্কারের নামে কালক্ষেপন করলেই সবাই লস করবে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে বিবেচনা করা সবকিছু করতে হবে। ছাত্ররা নতুন দল করেছে, আন্দোলনে যথেষ্ট অবদান রেখেছে এবং সাপোর্টও পেয়েছে। তবে এটা ধরে রাখার দায়িত্বও তাদের। আন্দোলনের সময় লাখ লাখ লোক এসেছে, এখন তাদের মিটিং-মিছিলে কতোজন আসে? তাদের ভাবতে হবে- একটা খেলায় জয়লাভ করেছে, তার মানে সব খেলায় জয়লাভ করবে তা কিন্তু নয়!

প্রশ্ন: ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কেমন?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক। বিএনপির সঙ্গে কোনো দেশের কেমন সম্পর্ক এটা ব্যাপার না। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক হলে জনগণ লাভবান হয়। বিএনপির ফরেন পলিসিতে বন্ধুত্ব সৃষ্টি ও রক্ষা করার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। অথাৎ সমমর্যাদার ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক হবে। গ্লোবাল পলিটিক্সে কারো সঙ্গে শত্রুতা করে কোনো রাষ্ট্র সুবিধা করতে পারে না। সারাদেশের মানুষ ভারতবিরোধী হয়েছে। কিন্তু কখনো কখনো রাষ্ট্র কৌশলগত কারণে কাউকে গুরুত্ব কম দেয়, আবার কাউকে বেশি দেয়। আমাদের সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে। বিএনপি দেশ ও জাতীয় স্বার্থ সবার আগে দেখব। তবে ভারত আমাদের সঙ্গে যতটা না কথা বলে, তার চেয়ে বেশি কথা বলে জামায়াতের সঙ্গে।

প্রশ্ন: নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে জামায়াতের সঙ্গে মতপার্থক্য কেন?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: যুগপৎ আন্দোলনের সময় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ছিল। সবকিছু চলমান কিন্তু দৃশ্যমান নয়। বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি, তাই ঢিলটা সবাই আমাদের দিকে বেশি মারে। নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে সবার আলাদা কৌশল থাকবে স্বাভাবিক। সবার আদর্শ ও পথচলাও ভিন্ন। তবে আমরা চেষ্টা করছি, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন পর্যন্ত জামায়াতসহ সবাই এক জায়গায় রাখার। সংস্কারের পূর্বশর্তই গণতন্ত্র। জনগণের প্রত্যেক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারই হবে পরবর্তী সংস্কার করার মুলভিত্তি। সঠিক পার্লামেন্ট না থাকলে কারা সংস্কার বাস্তবায়ন করবে? প্রত্যেক রাজনৈতিক দল সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে, সব প্রস্তাব সাংঘর্ষিক তাও না। তর্ক-বিতর্ক করার দরকার কী, সরকার পদক্ষেপ নিলেই তো হয়। সব দলের প্রস্তাবগুলো ঐকমত্যর ভিত্তিতে এক করে জুরিবোর্ডের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। এরপর নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান প্রতিশ্রুতি থাকবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে আগামী সংসদে এই প্রস্তাব পাশ করতে প্রত্যেক সংসদ সদস্য বাধ্য থাকবেন। না হলে তার সংসদ পদ চলে যাবে।

প্রশ্ন: বিরাজনীতিকরণ বা মাইনাস করার কথা শোনা যায়, বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: সব দলকেই মনে রাখতে হবে, বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত রুখে দিতে রাজনীতির স্বার্থে কারো কারো কমবেশি ত্যাগ শিকার করতে হবে। সরকার-বিদেশিদের টোপে না পড়ে খুঁজে নিতে হবে কোনটা ঠিক-বেঠিক। রাজনীতিবিদের মৌলিক সমস্যা কোথা থেকে হয়, সেই সমস্যাও চিহ্নিত করতে ‘পেইন কিলার’ খাওয়া উচিত। ট্যাক্স ফ্রি গাড়ির কথা বললে সবাই কিন্তু এক, কারণ সবার মধ্যে শ্রেণী স্বার্থ রয়েছে। তাই রাজনীতিবিদদের মধ্যে যদি আমরাই দেশ শাসন করব- এমন মানসিক শ্রেণী স্বার্থ থাকে তাহলে বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রশ্ন: গত ৮ মাসে দেশে দুর্নীতি কমেছে নাকি বেড়েছে?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারলেও, এখন পারছি না। তাহলে কি দুর্নীতি কমে গেছে! ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প যারা ১৫ হাজার কোটি টাকা করছে, তারা এখনো সরকারে বহাল। এখনো কেন পোস্টিং-বদলির জন্য টাকা লাগবে? তাহলে এই প্রশাসন দিয়ে জনসেবা সম্ভব! এতো সংস্কারের কথা বলেন অথচ যারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে? দুর্নীতিবাজরা তো তীব্র আরামে আছেন। হাসিনার ফ্যাসিজম সহযোগীদের কাছ থেকে আন্দোলনে নিহতদের পুর্নবাসন বা আহতদের চিকিৎসার জন্য ছাত্র নেতাদের টাকা নিতে হবে? যতটুকু ধৈর্য-কৌশল নিয়ে শেখ হাসিনাকে তাড়াতে সক্ষম হয়েছি, তার চেয়ে দ্বিগুণ ধৈর্য-কৌশল নিয়ে যদি বাকযুদ্ধ স্বাভাবিককরণের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ বন্ধ করে গণতন্ত্র দাঁড় না করাতে পারি, তাহলে সবকিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে।

প্রশ্ন: ইতিহাস থেকে রাজনীতিবিদরা শিক্ষা নিতে পেরেছে?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: ভিন্নমত মানে শত্রু নয়। তবে রাজনীতিতে শিষ্টাচার বহির্ভূত ভাষা এড়িয়ে চলা উচিত। শালীন ভাষায় কৌশলে উত্তর দেয়া উচিত। ভাষা খারাপ না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা অটোমেটিক কমে যাবে।

স্বাধীনতার আগে শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু স্বাধীনতার পর আজকে উনি কোথায়? মৃত্যুর পর তা নামাজে জানাজা পড়ার লোক পাওয়া যায়নি। শেখ হাসিনা জনপ্রিয় ছিল না জোর করে স্লোগান দেয়ানো হতো। এই ইতিহাস থেকে প্রত্যেক রাজনীতিবিদকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। বহুদিন পর ছাত্রদের জাগ্রত ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছে, তাদেরকে ধন্যবাদ। তবে ছাত্র সমাজের অর্জিত সম্পদ ধরে রাখতে পারলে ফলাফল ভালো হবে, আর না হলে এরাও যে তিরষ্কৃত হবে না এটা বলা কঠিন।