Image description

‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে শুধু বাইকে ধাক্কা লাগার মত তুচ্ছ কারণে এমন ঘটনা ঘটায়নি তারা। ওকে মেরে ফেলার জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এটা করেছে।

আমি ছেলে হত্যার সর্বোচ্চ বিচার চাই। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। ’

বুধবার (১৪ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে সাম্যের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।  

সেখানে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্যের বাবা মো. ফখরুল আলম।  

তিনি বলেন, ‘ছেলের সাথে গত পরশু ফোনে কথা বলেছিলাম। তখনও সে আমাকে বলেছিল, বাবা তুমি চিন্তা করো না, আমি ভালো আছি। এরপর কাল রাতেই আমার ছেলের মৃত্যুর খবর এলো। ’

তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে খুবই ঠান্ডা স্বভাবের ছিল। কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলায় জড়াত না। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে সে হলেও থাকতে পারেনি; ওর বড় ভাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিল বলে। ৫ আগস্টের পর সে হলে সিট পেয়েছিল।
 
স্বজন ও সহপাঠীরা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই দাফন করা হবে সাম্যকে।

এর আগে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্যের ডান পায়ের রানের পেছনের অংশে কাটা জখম রয়েছে। এছাড়া পিঠের মাঝ বরাবর লালচে দাগ রয়েছে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।  

গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার আলম সাম্য গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।