
উল্লাপাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়াল থেকে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি মুছে ফেলা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহলের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে বিজ্ঞান কলেজ ও মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের দেয়াল থেকে জুলাই গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলা সদরের যাওয়ার রাস্তায় অবস্থিত দুটি প্রতিষ্ঠানের চারপাশের দেয়াল থেকে একদল শ্রমিক গ্রাফিতি মুছে ফেলছে। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে উল্লাপাড়া উপজেলার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের দেয়ালে জুলাইয়ের স্মৃতি হিসেবে নানান স্লোগান সম্বলিত গ্রাফিতি অংকন করেন। গ্রাফিতি অংকনে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অংশ নেন নানান শ্রেনী পেশার মানুষ। গ্রাফিতিতে স্কুল-কলেজের দেয়াল সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নানান স্মৃতি ও বদলে যাওয়ার স্লোক বহন করেছে। এসব গ্রাফিতিতে থেকে শিক্ষার্থীরাসহ অন্যরা নানা বিষয়ে শিক্ষা নিচ্ছে। হঠাৎই গ্রাফিতি মুছে ফেলায় শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ কর্মকান্ডে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ কাজের জন্য মোমেনা আলী স্কুল ও বিজ্ঞান কলেজ কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন সবাই।
জানা গেছে, গ্রাফিতি অংকনের পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গ্রাফিতি সুন্দর ভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষনের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিলো। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) শারমিন আক্তার রিমাকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে আছেন-শিক্ষক প্রতিনিধি ইমরান হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান ও মাসুম আনান।
গ্রাফিতি মুছে ফেলার বিষয়ে উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোখতার হোসেন বলেন, গ্রাফিতি পুরাতন হওয়ায় দেয়ালের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে যে কারনে মুছে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি যে এমন হবে তা আমি ভাবতে পারিনি৷ ইউএনও স্যারের সাথে আলাপ করেছি পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সাথে পরামর্শ করে পুনরায় অংকন করে দেয়ার চেষ্টা করবো।
গ্রাফিতি সংগ্রহ ও সংরক্ষন কমিটির সদস্য ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব মেহেদী হাসান বলেন, গ্রাফিতি মুছে ফেলায় শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কমিটির কাউকে না জানিয়ে এমন কাজ করা উচিত হয়নি বলে মনে করছি৷ আশা করছি তিনি পুনরায় গ্রাফিতি অংকন করে দিবেন।