
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক সম্প্রতি এক অনলাইন টকশোতে বলেন, নির্লজ্জ বেহায়ার মতো এখনো বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনুসারীরা শেখ হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ সম্বোধন করে ফেসবুকে পোস্ট করে।
ড. ফয়জুল বলেন, “সর্বশেষ জুলাই মাসে যে গণহত্যা চালিয়েছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ—তা ছাড়াও বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি মাসে একজন-দুজন করে মেরে মেরে এরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। নিশ্চয়ই মনে আছে—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এক কর্মী একটি লিফলেট বিলি করতে গিয়েছিল, তাকে পেছন থেকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আবার ভোলায় চারজন মানুষকে রুমের ভেতরে ডেকে, দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। এ রকম আরও বহু হত্যাকাণ্ডের জন্যই এদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হয় এবং তারা বাংলাদেশের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার রাখে না।”
তিনি আরও বলেন, “নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে কি আমি বা আপনি নিষিদ্ধ করেছি? শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগের প্রধান হন, তাহলে তিনি ৫ তারিখে জনগণ কিংবা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কোনো ভিডিও বার্তা বা বিবৃতি দিয়ে গেছেন—এমন প্রমাণ কোথাও আছে? তিনি কি বলেছেন যে, ‘আমি পাঁচ দিনের জন্য ছুটিতে যাচ্ছি’ কিংবা ‘১০ দিনের জন্য যাচ্ছি’? কিছুই বলেননি। অথচ নির্লজ্জ বেহায়ার মতো এখনো বিভিন্ন জায়গায় তাদের অনুসারীরা তাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ সম্বোধন করে ফেসবুকে পোস্ট করে, লাইভে আসে— এমনকি শেখ হাসিনার উপস্থিত কোনো লাইভেও তারা ক্যাপশনে লেখে: ‘প্রধানমন্ত্রী এখন বক্তব্য দেবেন।’”
উল্লেখ্য, গতকাল (১২ মে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ তাদের সকল অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত।