
চট্টগ্রামে ২৭ সাংবাদিকসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে আবেদনটি করেন রেজাউল ইসলাম নামের এক আইনজীবী। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আবেদনে রেজাউল নিজেকে ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রামের সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন।
মামলার আবেদনে বাদী অভিযোগ করেছেন, তাকে সাংবাদিকরা মারধর করেন, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেন, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
এদিকে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের ‘মিথ্যা’ মামলায় জড়ানোর ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নসহ (সিইউজে) বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। এক বিবৃতিতে সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, ওই যুবক গত ৩০ এপ্রিল নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মিলনী অনুষ্ঠান প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রকাশ্যে। মে দিবস উপলক্ষে ১ মে আনোয়ারার পারকি সৈকতে ওই সম্মিলনীর আয়োজন ছিল। ঘোষণার পরদিন (১ মে) সকালে চট্টগ্রাম নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের গেটের সামনে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় তিন সাংবাদিক আহত হন। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন রেজাউল ইসলামের সঙ্গে শহীদ ওরফে কোরবান আলীকেও খুলশী থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে রেজাউল উল্টো আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহ উদ্দিন রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সফিক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবতী, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিক সম্মিলনী কমিটির সদস্য নওশের আলী খান, রফিকুল ইসলাম সেলিম, হোসাইন তৌফিক ইফতেখার, শিমুল নজরুল ও কামাল পারভেজ।