
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বিপ্লব সংঘটিত হলো। কথাছিল -বৈষম্য থাকবে না। মেধার ভিত্তিতে চাকুরি হবে। বাক স্বাধীনতা ফিরে পাবে। কিন্তু, আজকে দেখেছি, বৈষম্য দূর হয়নি, চাঁদাবাজদের কারণে ব্যবসায়ীরা শান্তিতে ব্যবসা করতে পারছে না। গাড়ি চালকেরা স্বাধীনভাবে গাড়ি চালাতে পারছে না। শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম চরমোনাই রোববার বিকেলে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ইসলামি আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ চায়। স্বাধীনভাবে বসবাস করতে চায়।মানুষ তার অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। এই অধিকার এবং শান্তির জন্য যুগে যুগে মানুষ লড়াই করেছে।
বিপ্লবের পর আশা ছিল চাঁদাবাজ থাকবে না,বৈষম্য থাকবে না। দুর্নীতি থাকবে না। ধর্ষক থাকবে না। মানুষ তার স্বাধীনতা পাবে, অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। দেশের মা-বোনেরা ইজ্জত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে। তারা ধর্ষিত হবে না,লাঞ্ছিত হবে না। তারা ইভটিজিং এর শিকার হবে না। বস্ত্রহীন থাকবে না, চিকিৎসার জন্য ধুঁকে ধুঁকে মরবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটা গরীব মানুষ খেয়েপরে বাঁচবে। মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে। এ কারণেই মানুষ বারবার জীবন দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন করলাম। ৭১ থেকে ২৪ এর পূর্ব পর্যন্ত যে দল,যে গোষ্ঠী দেশ শাসন করেছে, তারা বৈষম্য দূর করতে পারেনি। এই বৈষম্য দূর করার জন্য আবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান হলো।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাহমুদুল হাসান,জামায়াতে ইসলামি সুনামগঞ্জ জেলা শাখার অফিস সম্পাদক নুরুল ইসলাম, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মাহফুজুর রহমান সজিব, জুলাই ওয়ারিয়র্স সুনামগঞ্জ সভাপতি ফয়সল আহমেদ প্রমুখ।