Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দ্রুত দিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। আগামী ৫ আগস্টের (৩৬ জুলাই) মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন চায় তারা। দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ৩০ কার্য দিবস সময় নিয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্র না দিয়ে আগামী ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে আপনারা যদি এটার উদ্যোগ সম্পন্ন না করেন তাহলে ৩৬ জুলাই আপনাদের কঠিন অবস্থা হবে।

দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী ৫ আগস্ট জুলাইয়ে শহিদ পরিবার ও আহতদের নিয়ে সচিবালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের এই কর্মসূচি এখনো প্রত্যাহার করি নাই।

হাদি আরো বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য এনসিপিকে দায়িত্ব দিলে হবে না। জাতীয় ঐক্য কমিশনের জন্য বৃহত্তর ঐক্য লাগবে। ঘোষণাপত্র তৈরিতে শুধু এনসিপিকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। প্রধান উপদেষ্টাকে সকল দলের সাথে বসে এটি তৈরি করতে হবে বলেও জানান তিনি।

তওবা কমিশন গঠনের কথা বলে তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ গণহত্যা করে নাই, যাদের হাতে রক্তের দাগ নাই তাদেরকে একটা জায়গা করে দিতে হবে যেন তারা পরিত্রাণ পেতে পারে। তাদের জন্য সরকার একটা তওবা কমিশন করে দিতে হবে। এরকম নিজের দায় স্বীকার করার কমিটি বিদেশে অনেক আছে। এই তওবা কমিশন প্রত্যেকটা বিভাগ থেকে জেলা, উপজেলা, গ্রামে-গ্রামে যাবে। যাওয়ার পরে তারা বলবে আমি এটার (আওয়ামী লীগ) সাথে ছিলাম এবং আমি আমার ভুল স্বীকার করতেছি। এবং তাদেরকে জাতীয়ভাবে দায়মুক্তি দিয়ে দেওয়া হবে। কারণ এই মানুষগুলোকে আমরা জাতি গঠনে কাজ লাগাব।

অতিদ্রুত গণতদন্ত কমিশন গঠন করার আহ্বান জানিয়ে হাদি বলেন, গণতদন্ত কমিশন গণহত্যার স্থানগুলোতে গিয়ে বসবে। যার সন্তান শহিদ হয়েছে, যে রিকশাওয়ালা লাশ টেনেছে, যে লাশের পোস্টমর্টেম করেছে তারা হাজারো জনতার সামনে দাঁড়িয়ে গণতদন্ত কমিশনের কাছে সে ভয়াবহ বর্ণনা দিবে। এই পুরো বর্ণনা বিটিভি লাইভ টেলিকাস্ট করবে। বাংলাদেশের আঠারো কোটি জনগণ দেখবে। এই গণতদন্ত কমিশন যখন আপনি করবেন জুলাইয়ের জন্য, শাপলার জন্য, পিলখানার জন্য এভাবেই আপনি গণঐক্যের ডাক দিতে পারবেন।