
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় গত ৯ মে রাতে একটি বাসা থেকে মরিয়ম বেগম (৬০) ও সুফিয়া বেগম (৫২) নামে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি তাদের হত্যা করেছে বলে পুলিশের শক্ত ধারণা। ইতোমধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটনে ওই বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে এমন আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, শেওড়াপাড়ায় দোতলার ওই ফ্ল্যাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম, তার স্বামী কাজী আলাউদ্দিন ও মেয়ে নুসরাত জাহান এবং মরিয়মের ছোট বোন সুফিয়া বেগম থাকতেন। ঘটনার সময় আলাউদ্দিন বরিশালে গ্রামের বাড়িতে এবং নুসরাত অফিসে ছিলেন।
খুন হওয়া মরিয়ম বেগমের মেয়ে নুসরাত জাহান বলেন, পরিচিত কেউ বাসায় এসেছিল। অন্যথায় বাসার ভেতরে ঢোকার সুযোগ পেত না। বাসায় কোরবানির জন্য ছোট একটি রামদা ছিল। খুনি সেই রামদা দিয়ে মা ও খালাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজতে কাজ করছে পুলিশ। বাসার নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে ওই বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে।
এতে দেখা যায়, গত ৯ মে (শুক্রবার) বিকেল ৩টার দিকে নীল রঙের জিনস প্যান্ট ও গাঢ় নীল রঙের শার্ট পরা এক ব্যক্তি ওই বাড়ির দোতলায় ওঠেন। তার মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক এবং মাথায় ছিল কমলা রঙের ক্যাপ। পরনের কাপড় পাল্টে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ওই ব্যক্তি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বলেন, ইতোমধ্যে এক ব্যক্তিকে শনাক্তের কাজ চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখতে পাওয়া ওই ব্যক্তির হাতে একটি কালো ব্যাগ ছিল। ঘটনার দিন ওই বাসা থেকে নামার সময় তিনি মাথা নিচু করে ছিলেন। হয়তো তিনি পরিবারটির চেনাজানা। আশা করছি খুব দ্রুতই তাকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে পারবো।