
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। রাতে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট রাতে লাকসাম পৌরসভার নশরতপুর এলাকার বাইপাস মার্কেটের সামনে রাস্তার ওপর ও ১৮ আগস্ট রবিবার রাতে বসত-বাড়িতে চাঁদা দাবি, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও পরিবারসহ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৯০ জনের বিরুদ্ধে লাকসাম পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির আহমেদ বাদী হয়ে আদালতে মামলা হয়। পরে লাকসাম থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রীর শ্যালক ও লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহ, বিপুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কাউন্সিলর খলিলুর রহমান, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর ভাতিজা আমিরুল ইসলাম, তাজুলের উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আজকরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, আবদুল কাদের শাহীন ও কাওছার আহমেদ।