
জুলাই বিপ্লবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে একই চেতনার ৩৫টি সংগঠন। তাদের সমন্বয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ নামে ঐক্যজোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নতুন গঠিত ঐক্যজোটে রয়েছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চ, অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিয়েশন, অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, একতার বাংলাদেশ, রক্তিম জুলাই, স্টুডেন্ট রাইটস ওয়াচসহ মোট ৩৫টি সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
অনুষ্ঠানে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ। এ সময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। এর অংশ হিসেবে আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক আলী বলেন, জুলাই বিপ্লবের আট মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা দেখছি গণহত্যায় জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া এখনো অনিশ্চিত। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় এই যে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বেসরকারি মহল অংশ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। যা একদিকে শহীদ, আহত ও পঙ্গু জনগণের আত্মত্যাগের চূড়ান্ত অপমান।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই ঐক্য’ জোটের মূল ও একমাত্র দাবি হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবে গণহত্যা, শাপলা ট্র্যাজেডি, পিলখানা ট্র্যাজেডি, গুম, খুন, দুর্নীতিসহ গত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে তার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় ক্যাম্পেইন জারি রাখা।
এতে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের প্রতিনিধি রাফে সালমান রিফাত বলেন, জুলাইয়ে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে মাঝে মাঝে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেশের ফ্যাসিবিরোধী সব সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করব।