Image description
আমলাতন্ত্র

‘এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া/এত যত্নে গড়াইয়াছেন সাঁই/ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ/যেমনি নাচাও তেমনি নাচি পুতুলের কী দোষ’? আবদুল আলীমের এই গানের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। মেধা, যোগ্যতা, বিষয়ভিক্তিক পারদর্শিতা, অভিজ্ঞতার বদলে এনজিওকেন্দ্রিক উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করায় উপদেষ্টাদের বেশির ভাগই যেন আমলাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার অলিগার্ক আমলারা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছে উপদেষ্টারাও তেমনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। প্রশাসনযন্ত্র হাসিনার অলিগার্ক আমলাদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা নির্বিঘেœ দেশত্যাগ করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রশাসনের আমলারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে হুমকি ও আল্টিমেটাম দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপদেষ্টারা দুর্বল হওয়ায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী সচিব, যুগ্মসচিব, ডিসিসহ আমলারা সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি দেয়ার মতো স্পর্ধা দেখাচ্ছে। এই আমলারা ১৫ বছর হাসিনাকে খুশি করতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে ভারতের উপনিবেশ করে রেখেছিল। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে সহায়তা করেছে, দিল্লির স্বার্থে ভারতের সাথে দেশবিরোধী চুক্তি করে তা এখনো গোপন রেখেছে। হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু উপদেষ্টাদের আমলারা রয়ে গেছে। তাদের ওপর উপদেষ্টাদের নির্ভরতায় ‘চলছে তো চলুক’ মানসিকতার সরকারি কর্মর্কতারা সরকারি চাকরির শর্ত ভেঙে সরকারকে হুমকি দিচ্ছে। ফলে সচিবদের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জিম্মিদশায় পড়েছেন নাকি আমলাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

 

সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আমলাদের হুমকি নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। এ ধরনের হুমকিকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মনে করছেন কেউ কেউ। তবে অনেকেই বলছেন, দিল্লির ইন্ধনে আমলারা এত সাহস দেখাচ্ছে। এখনই সরকার কঠোরভাবে আমলাদের দমন না করলে চরম পরিণতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমান সরকার কি আমলাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে?

 

আমলাদের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার বলেছেন, ‘সচিবালয়ে আগুন, ঘুম থেকে জানানোর মতোই। এরপর আরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ঘটানোর শঙ্কা হচ্ছে। যারা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের আমলা নিয়ন্ত্রণ করার যোগতা না থাকায় কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় আমলারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা দেশকে ‘গান পয়েন্টে’ নিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এই আমলারা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু। হাসিনার মাফিয়া লীগের তাঁবেদারি করে দেশকে দিল্লির উপনিবেশ করে রেখেছিল। এরা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিবাজ। ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার অলিগার্ক হিসেবে দিল্লির তাঁবেদারি করে দুর্নীতি করেছে, সুবিধা নিয়েছে। এরা হাসিনার করা ভারতের সাথে গোলামির চুক্তিগুলো এখনো গোপন রেখেছে। তারা প্রশাসনকে জনবিচ্ছিন্ন করেছে এবং পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে হাসিনাকে সহায়তা করেছে। আর উপদেষ্টারা হাসিনার করা আইন এখনো কার্যকর করায় এদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’

জাতি এখন সোশ্যাল মিডিয়ার হুজুগে রয়েছে। পান থেকে চুন খসলেই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়া হয়। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’ এই স্ট্যাটাস দেয়ার পর নিজের ভুল বুঝে উর্মি স্ট্যাটাস মুছে ফেললেও তাকে প্রথমে ওএসডি পরে বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আমলারা সচিবালয়ে প্রথমে গ্যাদারিং এবং সংবাদ সম্মেলন করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়ে হুমকি দিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির স্ট্যাটাস অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বেশি বিপজ্জনক নাকি আমলাদের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম বেশি বিপজ্জনক? সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে আমলাদের এমন আচরণের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে? নাকি অন্তর্বর্তী সরকার এবং উপদেষ্টারা আমলাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন? এর আগে দুই দফায় ৫৯টি জেলায় ডিসি নিয়োগ নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, হট্টগোল হয়। কোটি কোটি টাকার ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল।

১৫ বছর ফ্যাসিন্ট হাসিনা দেশের সব সাংবিধানি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সংস্কার প্রস্তাবে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ পদোন্নতির সুপারিশের প্রস্তাবের খসড়া প্রণয়ন করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে প্রতিবাদ সভায় আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে অপসারণের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়ে ছয় দফা ঘোষণা করে বলেন, ‘প্রথমত, আমরা এক আছি, এক থাকব। দ্বিতীয়ত, আমরা প্রশাসন ক্যাডারের ওপর কোনো রকমের সার্জারি বা কোটা আরোপ করতে দেবো না। তৃতীয়ত, কমিশন কোনো অযাচিত সুপারিশ করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। চতুর্থত, প্রশাসনে কোনো পর্যায়ে অন্ধভাবে বহিরাগত কাউকে বসানোর চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। পঞ্চমত, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বঞ্চিত কর্মকর্তাসহ সব ধরনের কর্মকর্তাকে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ষষ্ঠত, দেশকে কোনোভাবে অস্থিতিশীল করার জন্য যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য প্রশাসন সারা দেশে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে।’ আমলাদের অন্তর্বর্তী সরকারকে এই আল্টিমেটাম দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে সচিবালয়ের সাত নম্বর বিল্ডিংয়ের তিন জায়গায় একসঙ্গে আগুন লাগাকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন।

আমলাদের হুমকি এবং সচিবালয়ে অগ্নিকা- নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। নেটিজেনদের অনেকেই বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরপরই হাসিনার অলিগার্ক সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবদের অপসারণ এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যে সব আমলা দীর্ঘ ১৫ বছর দিল্লির তাঁবেদার হাসিনাকে খুশি করার প্রতিযোগিতা করেছে, দিল্লির তাঁবেদারি করে পুলকিত হতো এবং ঢাকার স্বার্থের বদলে দিল্লির স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত ছিল; তারাই এখনো প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রয়ে গেছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, ঢাকার সচিবালয়ের আমলারা কি দিল্লির অনুগত?

মূলত ফ্যাসিন্ট হাসিনার রেখে যাওয়া ‘সাজানো প্রশাসন’ দিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম চলছে। ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় দুই ডজন সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। ‘বাসর রাতে বিড়াল মারতে হয়’ প্রবাদের মতো এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় বিচারপতি লতিফুর রহমান প্রশাসনযন্ত্রকে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। কিন্তু আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমনকি ৫ আগস্টের চেতনা ধারণ করে এবং জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী প্রশাসন থেকে হাসিনার তাঁবেদার আমলাদের বিতাড়িত করেননি। আবার ১৫ বছর জুলুম-নির্যাতনের হোতাদের গ্রেফতার করেননি; বরং উপদেষ্টাদের বেশির ভাগ এনজিওকেন্দ্রিক এবং কাজে অদক্ষ হওয়ায় তারা হাসিনার রেখে যাওয়া সচিবদের উপর নির্ভরশীল। ফলে তারাই প্রশাসনের নাটাই ঘুরাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করতে অন্তর্বর্তী সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। হাসিনার অলিগার্কদের প্রশাসন থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা, খুনি, হত্যা মামলার আসামি, বিদেশে টাকা পাচারকারী শত শত নেতা, আমলা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এমনকি ক্যান্টনমেন্টে যাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল সেই বিতর্কিত নেতা ও ব্যক্তিদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৬২৬ জনকে বিদেশে পাচার করে দেয়া হয়েছে। যাদের পাচার করে দেয়া হয়েছে তারা ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। যে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এই ৬২৬ জনকে বিদেশ যেতে সহযোগিতা করেছে তাদের জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার বলেছিলেন, ‘আমলাতন্ত্র রাষ্ট্রের সবচেয়ে কার্যকর ও যুক্তিযুক্ত উপায়, যা মানুষের কার্যকলাপকে সংগঠিত করে, নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও শৃঙ্খলা বজায় রাখে, কার্য সম্পাদনে দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং পক্ষপাতিত্ব দূর করে। ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্র মূলত ‘গণমুখী’ আমলাতন্ত্রের সারাংশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের উন্নত দেশগুলো অনুসরণ করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের আলমাদের চিত্র একেবারে উল্টো। বাংলাদেশে এখনো ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার মতোই জনগণকে প্রজা হিসেবে ধরে নিয়ে আমলাতন্ত্র কার্যকর হচ্ছে। ১৫ বছর ধরে মানুষ দেখছে আমলা মানেই যেন ঘুষখোর, শোষক, নির্যাতনকারী। বিগত বছরগুলোতে রাষ্ট্রের যেকোনো সিদ্ধান্ত এবং সুযোগ সুবিধার আইন করতে জনগণকে উপেক্ষা করে আমলাদের কথা চিন্তা করেই নেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় আমলাদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। করোনায় লকডাউনে কর্মজীবী মানুষ বেকার হয়ে কষ্ট করেছে। কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমলাদের নিয়মিত বেতন নিশ্চিত করেছে সরকার। ভারতের অনেক রাজ্যে করোনার সময় সরকারি কর্মচারীরা এক মাসের বেতন দান করেছিল কিন্তু বাংলাদেশের আমলাদের ক্ষেত্রে তেমন দেখা যায়নি। যার কারণে ভারতের নাচের পুতুল হাসিনার এসব সিদ্ধান্ত সুচারুভাবে কার্যকর করেন আমলারা। হাসিনার দিল্লির সহায়তায় ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করেছে আর আমলারা জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে নিজেরা শত শত কোটি টাকা লুট করে দেশ-বিদেশে টাকার পাহাড় গড়েছে।

হাসিনার শাসনামলে আমলাদের বৃহৎ অংশ তথা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ দিল্লির তাঁবেদারি করেছে। ভারতের স্বার্থে তারা নানান গোপন চুক্তি করেছে, নীলনকশার নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এমনকি করোনা টিকা ক্রয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির পর তা ঠেকিয়ে দিয়ে ভারতের কাছ থেকে টিকা নেয়ার চুক্তি করে জনগণকে বিপদে ফেলেছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ টিকা সঙ্কটে পড়ে যায় এবং চীনের কাছ থেকে টিকা ক্রয় করা হয়।

এখন আমলাদের আল্টিমেটাম নিয়ে বিতর্ক চলছেই। প্রশ্ন হচ্ছে, তাপসী তাবাসসুম উর্মির শাস্তি হলে আল্টিমেটাম দেয়া আমলাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে? দেখার জন্য অপেক্ষা করছে মানুষ।