
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০০৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে ৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তি করা হয়, যা এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হওয়া মোট শিক্ষার্থীর সাড়ে ৪ শতাংশ। এর মাধ্যমে সংঘবদ্ধ একটি চক্র হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এ ভর্তি বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি, কয়েকজন সদস্য, অধ্যক্ষ, শাখা প্রধান, কয়েকজন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কালবেলার অনুসন্ধানে এবং ভর্তি সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভর্তি বাণিজ্য হয় প্রথম শ্রেণিতে। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতেও টাকার বিনিময়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এমনকি জেএসসি পরীক্ষার মেধাতালিকা ছাড়াই নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। সাধারণত জানুয়ারি মাসে ভর্তি কার্যক্রম চললেও, এসব নিয়মবহির্ভূত ভর্তি মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে গোপনে সম্পন্ন করা হতো। কালবেলার হাতে আসা ২০১৪ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন নথিতে দেখা যায়, বিগত সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে থাকা প্রায় সবাই ভর্তি বাণিজ্যের এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
নথি অনুযায়ী, মতিঝিল, বনশ্রী ও মুগদা—এ তিনটি শাখায় ২০১৪ থেকে ২০২২ এবং ২০২৫ এ দশটি শিক্ষাবর্ষে অনুমোদিত আসনের চেয়ে ৩ হাজার ৮০২ জন বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৮৩ জনকে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী হিসেবে, ৮৬৬ জনকে জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) ব্যবহার করে, বিশেষ বিবেচনায় ৩৬ জনকে এবং চলতি বছর সহোদর কোটায় ১১৭ জনকে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া ২০১১ সালে ২ হাজার ৯০০ জন এবং ২০১২ সালে ১ হাজার ৯৫৬ জনকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তির তথ্যও মিলেছে অনুসন্ধানে।
জানা গেছে, বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ভর্তি বাণিজ্যের জন্য ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। এ তিন বছরে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি না করালেও, বয়সজনিত জটিলতা ও বাতিল হওয়া সহোদর কোটার সুযোগ নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৫০ জন এবং ২০২৪ সালে ১৫০ জন। ২০২২ সালে তুলনামূলকভাবে কমসংখ্যক শিক্ষার্থীকে এভাবে ভর্তি করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে ৯ হাজার ২১৪ শিক্ষার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তির প্রমাণ মিলেছে। তবে ২০০৯, ২০১০ ও ২০১৩ সালের ভর্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে ফেলায় সেই সময়ের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি, যা যোগ করলে নিয়মবহির্ভূতভাব শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রতি শিক্ষার্থী ভর্তির বিপরীতে ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।
নথি ঘেঁটে জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণিতে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে—এমন ঘোষণা আসার পর ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৩৫ শিক্ষার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তি করা হয়। ওই বছর গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন জুলাই আন্দোলনে ছাত্র হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। তার তিন বছরের মেয়াদে মোট ২ হাজার ৩৬৭ জন এবং আলোচিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের চার বছরের দায়িত্বকালে ২৯০ শিক্ষার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তি করা হয়েছে। টিসির মাধ্যমে সারা বছর ধরে ৮৬৬ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হলেও, এর কোনো সঠিক রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া ২০১৪ সালে ৮০ জন, ২০১৫ সালে ৫২, ২০১৭ সালে ৩৪, ২০১৮ সালে দুই, ২০১৯ সালে ৭৫, ২০২০ সালে ১০০, ২০২১ সালে ১২০ এবং ২০২২ সালে ৮৫ শিক্ষার্থীকে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চলতি বছর এ কায়দায় ১১৭ জনেক ভর্তির অভিযোগ তদন্ত করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। টিসির মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে মতিঝিল মূল শাখার বাংলা ভার্সনে ২৫৮ জন, একই শাখার ইংরেজি ভার্সনে ২০৯, বনশ্রী শাখার বাংলা ভার্সনে ২২১, ইংরেজি ভার্সনে ৭২ এবং মুগদা শাখায় ১০৬ শিক্ষার্থীকে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভর্তির তথ্য রয়েছে।
কালবেলার অনুসন্ধানে ২০১১ ও ২০১২ শিক্ষাবর্ষেও বড় ধরনের ভর্তি জালিয়াতির তথ্য মিলেছে। শুধু ২০১১ সালেই ২ হাজার ৯০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। পরের বছর এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৫৬ জন। ওই সময় ভর্তির বিনিময়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বছর এবং চলতি বছরও সহোদর কোটার নামেও একটি চক্র ভর্তি বাণিজ্য করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ভাইবোন কোটায় ভর্তি নিষেধ থাকলেও, আদালতের রায় দেখিয়ে ২০২৪ সালে ৩০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। চক্রটি এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আদালতের রায় নিয়ে আসার পরামর্শ দিত এবং রায় আনার পর আপিল না করেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করত। এ ছাড়া চলতি বছরে বদলিজনিত ৬৮টি আসনের বিপরীতে নতুন করে ভর্তির অভিযোগ উঠেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদাউস। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা আইনজীবী নিয়োগ করে এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছি। আমি গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েছি। এর আগের ঘটনার বিষয়ে আমি বলতে পারব না।’
আইডিয়ালের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছর ভর্তি বাণিজ্যের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হতো। মূল চক্রের বাইরেও তিন শাখার ১২ জন শাখা প্রধান সর্বনিম্ন দুজন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির কোটা পেত। তবে সর্বশেষ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন শাখা প্রধান থাকাকালে এ কোটা নেননি। বাকিরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। ২০২১ সালের একটি নথিতে আট শিক্ষার্থীকে এভাবে ভর্তি করার প্রমাণ মিলেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি বাণিজ্যের সুযোগ না দেওয়ায় গত ফেব্রুয়ারিতে অধ্যক্ষ পদ থেকে ইমাম হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
কালবেলার অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, বিভিন্ন কৌশলে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির এ পুরো সময় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ছিলেন ড. শাহান আরা বেগম। তার নেতৃত্বেই এ ভর্তি বাণিজ্য চলত। তাকে সহযোগিতা করতেন দুর্নীতি দায়ে বহিষ্কৃত প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান। এ দুজন মিলে বনশ্রীতে একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার অধ্যক্ষও শাহান আরা। এ ছাড়া আতিক ও শাহান আরার ছেলে ওই এলাকায় ভিশন-৭১ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি খুলে জমি ও ফ্ল্যাটের ব্যবসা করছেন। আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৪৭টি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে আতিকের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), যা বর্তমানে তদন্তাধীন। ভর্তিতে অনিয়ম ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে দুদক গত ৬ এপ্রিল অধ্যক্ষ ও আবু হেনা মোরশেদ জামান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মহাপরিচালক শহীদুল ইসলামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলের সব নিয়মবহির্ভূত ভর্তির তথ্য খুঁজে বের করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সম্প্রতি তদন্ত কমিটি প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে ভর্তির সব তথ্য চেয়েছে। এর আগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর একই বিষয়ে তদন্ত করলেও রাজনৈতিক চাপে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
কালবেলার হাতে আসা নথির তথ্য বলছে, বিগত বছরগুলোয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৯টি পরিচালনা কমিটি ছিল, যার মধ্যে মাত্র তিনটি ছিল নিয়মিত। বাকিগুলো অ্যাডহক বা বিশেষ কমিটি হিসেবে গঠিত হয়েছিল এবং এ সময়েই মূলত ভর্তি বাণিজ্য চলেছে। সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আবু হেনা মোরশেদ জামান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিন ও জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানও ছয় মাস করে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
স্কুল থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আবেদনের বাইরে বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। প্রতি বছর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সুপারিশে এসব ভর্তি হতো। তদবিরকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক তিনজন সচিব, সাবেক অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যানসহ মহাপরিচালক, বিমানের চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, বস্ত্র ও পাট সচিবসহ অন্তত দুই ডজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি। এ ছাড়া ২০২১ সালে শুধু গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সুপারিশে ১৪১ জনকে ভর্তি করা হয়, যার পক্ষে কোনো সুপারিশপত্রও ছিল না। সুপারিশপত্র না থাকা সত্ত্বেও অনেকের নাম ব্যবহার করে ভর্তি বাণিজ্য হয়েছে। ২০২১ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়। দুদকের মামলায় শহীদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
নথি পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, এসব ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষাবোর্ড বা অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। ভর্তির রেজিস্ট্রারে গরমিল ছিল এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই প্রতি বছর ভর্তির আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান কালবেলাকে বলেন, বিগত সরকারের সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মবহির্ভূত ভর্তিসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন হয়েছে।
কমিটির সদস্য সচিব ও অধিদপ্তরের উপপরিচালক শওকত হোসেন মোল্লা কালবেলাকে জানান, তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন এবং সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে ভর্তি সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়েছেন।
এ নিয়মবহির্ভূত ভর্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা অভিভাবক ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবির দুলু কালবেলাকে বলেন, ‘এসব অবৈধ ভর্তি স্কুলের শিক্ষক, গভর্নিং বডি ও কিছু রাজনৈতিক নেতার সিন্ডিকেটে হতো। তারা নিজেরাই ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সুপারিশ নিয়ে আসতেন। ১০টি সুপারিশ এলে তার দ্বিগুণ, কখনো এর বেশি ভর্তি করাত। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকত, তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে এ ভর্তি বাণিজ্য হতো। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এসব অবৈধ ভর্তির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির বিধান না থাকায় এমনটি বারবার ঘটছে। গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখার দাবি জানাচ্ছি।’
ছাত্র হত্যা মামলায় রাশেদ খান মেনন কারাগারে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আর বেগম এবং বহিষ্কৃত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান খানের সঙ্গে নানা মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।