
ধামরাইয়ে মামলার আসামি শ্রাবণ নামের বড় ভাই। তারই ছোট ভাই জসিম উদ্দিন নামে বিমান বাহিনীর সদস্যকে হাতকড়া লাগিয়ে পিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের দুই এএসআইকে ক্লোজ করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন- এএসআই মো. সেলিম হোসেন ও মো. শহীদুল ইসলাম। এদিকে আহত বিমান বাহিনীর সদস্য জসিমকে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিনের বাবা আক্কাস আলী বলেন, বড় ছেলে শ্রাবণের মামলায় রিকল জমা দেওয়া আছে। আমার ছোট ছেলে জসিমকে দুই হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। গ্রেফতারের কাগজ দেখতে চাইলে ওই পুলিশ সদস্যরা অশ্রাব্য গালিগালাজ করে আমাকেও নাজেহাল করে। আমার অসুস্থ স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ধামরাই থানার এএসআই সেলিম হোসেন ও শহীদুল ইসলামসহ মোট ৪ পুলিশ উপজেলার পাবরাইল গ্রামে অভিযান চালায়। এতে শ্রাবণ নামে ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় অপর ভাই বিমান বাহিনীর কর্পোরাল জসিম উদ্দিনকে বিনা ওয়ারেন্টে হাতকড়া লাগিয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। তাকে রক্ষা করতে গেলে জসিমের পিতা আক্কাস আলী ও অসুস্থ মা সুফিয়া বেগমকেও পিটুনি দেয় পুলিশ। বাদ যায়নি জসিমের স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তারও। পরে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক অমল রায় উপস্থিত হলে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে। কর্পোরাল জসিমকে মুক্ত করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই এএসআইকে ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।