
ভোলার মনপুরায় আলোচিত ছাত্রদল নেতা রাসেদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও হত্যা মামলাটি পরিচালনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহযোগিতার দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে নিহত রাসেদের বাড়ির সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভাই আজাদ হোসেন লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, জামাল উদ্দিন পলাশের পরিকল্পনায় মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাসেদকে হত্যা করে; কিন্তু এখন পর্যন্ত হত্যার পরিকল্পনাকারী জামাল উদ্দিন পলাশসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এমনকি জামাল উদ্দিন পলাশ টাকার বিনিময়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তন করবেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।তিনি অভিযোগ করেন, হত্যা মামলা হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের ও মামলার সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন ও হুমকি দিচ্ছেন আসামিপক্ষের লোকজন। এমনকি হত্যা মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে তাদের পরিবারের সদস্য ও মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের লোকজন তিনটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে নিহত ছাত্রদল নেতা রাসেদের বাবা আবুল কালাম, মা কহিনুর বেগম, বোন ইয়াসমিন বেগম ও ভাই আজাদ হোসেন হেনস্তার হাত থেকে বাঁচতে ও হত্যার সঠিক বিচার পেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহযোগিতা দাবি করেন।এদিকে জামাল উদ্দিন পলাশ এ হত্যা মামলার ২নং আসামি। তিনি পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির জানান, মনপুরা ও ঢাকার গুলশানে অভিযান চালিয়ে ছাত্রদল নেতা রাসেদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের কাজকে কেন্দ্র করে মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের নুর উদ্দিন মার্কেটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাসেদসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে গুরুতর আহত রাসেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত রাসেদের ভাই ২০ মার্চ ১৭ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় মনপুরা ও ঢাকার গুলশান থেকে মামলার প্রধান আসামিসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিন মিঝি, মো. হালিম মিঝি, মো. করিম মিঝি, রহিম মিঝি, জসিম উদ্দিন মিঝি, আল মামুন ও আল আমিন।