Image description

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে যে পরিমাণ কাজে লাগানোর কথা আমরা তা পারছি না। এই বন্দরসহ দেশের সবকটি বন্দর পরিচালনার জন্য বিশ্বের টপ অপারেটরদের সঙ্গে কথা চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকার একাধিক বন্দর পরিচালনার ভার তাদের হাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাচ্ছে। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হতে পারে আবার জিটুজি ভিত্তিতেও অপারেটর নিয়োগ হতে পারে।

দেশের বর্তমান অপারেটরদের কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে যারা পরিচালনা করছেন তারা যদি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসে এবং সেটি যদি দেশের জন্য কার্যকর প্রস্তাব হয় অবশ্যই সেটি গ্রহণ করা হবে। 

তিনি শুক্রবার (২ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। এ সময় উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, যে সব সাংবাদিক জুলাই অভ্যুত্থানে বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত ছিল তাদের বিষয়ে সঠিক প্রমাণসহ মামলা করা উচিত। মামলা করলে তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে। এক্ষেত্রে অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। 

করিডোর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরিডোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশের সব রাজনৈতিক দল রাজি হলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কোরিডোর হতে পারে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠান শেষে তিনি বিকেলে তরুণ সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে একটি কর্মশালায় অংশ নেন। এরপর প্রেস ব্রিফিং করেন। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সেক্রেটারি সালেহ নোমানসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।