Image description

মামলা না নেওয়ায় বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছেন জামালপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনিসুজ্জামান গামা।

বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে ওসিকে স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে চাকরি থেকে রিজাইন দেওয়ার দাবি জানানো পিপির ওই ফোনকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

জামালপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনিসুজ্জামান গামা বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

ছড়িয়ে পড়া ফোনকলে অ্যাড. গামা ওসি খন্দকার শাকের আহমেদকে বলেন, ‘আপনি কেন মামলা নিলেন না?’ এ সময় ওসি শাকের বলেন, ‘আপনাদের নিজেদের দলের লোক একজন বলবে না নিতে আপনি বলবেন মামলা নিতে, তাহলে আমি কীভাবে মামলা নিব?’

এ সময় অ্যাড. গামা বলেন, ‘আপনি আরেকজনের কথায় মামলা নিবেন না মানে আপনি স্বৈরাচারের দোসর।’ এ সময় ওসি শাকের বলেন, ‘এটা মামলা নেওয়ার মতো ঘটনা না, এটা ৩২৩-এর ঘটনা। পিপি গামা বলেন, ‘৩২৩ ধারায়ই মামলা নিবেন।’ এ সময় ওসি বলেন, ‘৩২৩-এ মামলা হয়? আপনি তো পিপি, আইন ভালো জানেন- আপনি কোর্টে মামলা করিয়ে দেন।’

এরপর ওই পিপিকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি মামলা না নিয়ে ঘুরালেন কেন? আপনি পারবেন না তাহলে আপনি রিজাইন দেন।’ তখন ওসি বলেন, ‘আমি কেন রিজাইন দিব? আপনি রিজাইন দেন। আপনি আওয়ামী লীগের লোকজনকে বিএনপি বানিয়ে জামিন করিয়ে নিচ্ছেন। আপনি তো বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। আপনি আমাকে হুমকি দিচ্ছেন কেন?’ এ সময় গামা বলেন, ‘আমি সরকারের পিপি, আমি বিএনপির পিপি না, আমি বিএনপির গোলাম না।’

এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট গামা ৫ আগস্টের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে বিএনপি বানিয়ে জামিন, ভুয়া মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

এদিকে শুক্রবার (২ মে) সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন অ্যাড. আনিসুজ্জামান গামা। তিনি জানান, গত ২৮ এপ্রিল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আশিকুর রহমান তুলনের একটা মামলা নিয়ে কথা হয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদের সঙ্গে। তিনি মামলা না নিয়ে ঘুরিয়েছেন। ওসি আমার সঙ্গে উল্টো খারাপ আচরণ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, পিপি আনিসুজ্জামান গামা মামলার বিষয় নিয়ে অনৈতিক চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছেন। আমি আইনের আওতায় সব কাজ করার চেষ্টা করি। ফোনকল কীভাবে ছড়াল তা আমার জানা নেই।