Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টঙ্গী-গাজীপুর রুটের চলাচল করা ‘ক্ষণিকা’ পরিবহন বাসে হামলার ঘটনায় ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুম বিল্লাহ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার ভিডিও দেখে আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমরা ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে আমাদের টিম। তবে মামলার বাদী ও আসামিদের সংখ্যা সম্পর্কে তিনি জানান, কতজনকে আসামি করা হয়েছে, নাম উল্লেখ আছে কিনা বা বাদী কে—সেটি এখন যাচাই করে বলা যাবে।

এর আগে ঘটনার পর মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা থানায় যান এবং ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। সেখানে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের অভিযোগ শোনেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা করেন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপাচার্যের প্রটোকল অফিসার ফিরোজ শাহ। 

তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টায় উপচার্য এবং প্রক্টর উত্তরা পশ্চিম থানায় গিয়ে আগ থেকে অবস্থান করা শিক্ষার্থী এবং পুলিশের সাথে কথা বলেছেন। পরবর্তীতে অজ্ঞাত আসামি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তারও আগে দুপুরের দিকে গাজীপুরগামী ক্ষণিকা বাসটি উত্তরা আজমপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে একদল উত্তেজিত যুবক বাসটি থামিয়ে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় অন্তত পাঁচ থেকে ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে। উত্তরার বিএনএস এলাকায় বিআরটিসির একটি ট্রাক এক স্কুলছাত্রকে চাপা দিলে উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ঢাবির বাসটি সেখানে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ যুবকদের একটি দল বাসের লুকিং গ্লাস ভাঙে এবং চালককে টেনে নামিয়ে মারধর শুরু করে। পরিস্থিতি হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভিসি চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে এবং তা রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতের দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।