
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংকখাত ছিল অন্যতম ভুক্তভোগী। সুশাসনের অভাব ছিল এতটাই যে, স্বাধীনতার পর বিগত ৫৪ বছরে এ দেশের ব্যাংকিং খাত এত বেশি সমস্যার মুখোমুখি আর কখনো হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দিয়ে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো উদ্ধার করতে পাড়ছে না। রাষ্ট্রায়ত্ত থেকে শুরু করে আধা সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এ রকম দেড় ডজন ব্যাংকে তারল্য সঙ্কট বিরাজ করছে। একই সঙ্গে সময় ও অর্থনীতির আকার বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের ব্যাংক খাতে অর্থ লেনদেনের পরিমাণও বাড়ে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রæয়ারিতে ব্যাংক খাতে লেনদেন কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ।
ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের হার অসহনীয় মাত্রায় বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। দেশি বিনিয়োগ স্থবির। বিদেশি বিনিয়োগে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন ও বিভিন্ন দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আশ্বাস আসলেও বাস্তবে শূন্য। আমানত সংগ্রহ ও প্রবৃদ্ধির হার কোনো কোনো ব্যাংকে ঋণাত্মক। বাধ্যতামূলক ক্যাশ রিজার্ভ ও তারল্য সঞ্চিতি রাখতে হিমশিম খাচ্ছে বহু ব্যাংক। বৈদেশিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে এখনো আস্থার সংকট। তবে শুধুমাত্র আসার আলো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে কিছুটা প্রবৃদ্ধি। অথচ স্বৈরাচার হাসিনা ভারতে পলায়নের পর দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন নেতৃত্ব আনা হয়। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরে ঘুরে দাঁড়াবে ব্যাংকিংখাত। আস্থাহীনতা দূর হবে। কিন্তু ঘটেছে উল্টো। কিছুদিন যেতে না যেতেই ঘটে বিপত্তি। ‘জোর প্রচেষ্টা সত্তে¡ও কিছু ব্যাংক বাঁচানো যাবে না’ ড. আহসান এইচ মনসুরের এ অমূলক বক্তব্যে এক ডজন ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িক পড়ে গ্রাহকদের, যা এখনও অব্যাহত আছে।
এতে কিছুটা খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়ানো দূরে থাক উল্টো খাদের কিনারে পড়ে যায়। এরপর ব্যাংকগুলোকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েও সমাধান হচ্ছে না। এখনও প্রায় ১ ডজন ব্যাংক গ্রাহকের আমানত দূরে থাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছে না। এখানেই শেষ নয়; বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অসাধু চক্রের খপ্পরে পড়ে একাধিক ভালো মানের ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যাংকগুলোকেও বিপাকে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে চক্রটি। এমনকি কিছু কিছু ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া বা বাংলাদেশ ব্যাংক সরিয়ে দিয়েছে সেই পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগেও আবেদন করার পর ৩ মাস অতিবাহিত হলেও নিয়োগের অনুমোদন মেলে না। মোটকথা নতুন গভর্নরের অতিমাত্রায় বিদেশ ভ্রমণ, ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ ও অন্যান্য পদক্ষেপে সময়ক্ষেপণ বা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমকে আরও মন্থর করে দিয়েছে। একাধিক ব্যাংকে ভারপ্রাপ্ত এমডি থাকায় সঠিক পরিকল্পনা করতে পারছে না। এর আগে একসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের দক্ষ একাধিক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণেও ব্যাংক খাতে স্থবিরতা নেমে আসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক খাতে দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতা দূর করতে যেসব নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক তার সবই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাদের মতে, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য দেওয়া আর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত বা নীতি প্রণয়ন এক নয়। ভুল নীতির কারণেই আর্থিকখাত দৈন্যদশা থেকে বের হতে পারছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র মতে, ব্যাংক খাতের ওপর দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতা আরও গভীর হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসে ব্যাংকখাত সংস্কারে কিছু পদক্ষেপ নিলেও গভর্নরের ভুল নীতি বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে অমূলক বক্তব্যে এই খাত আরও সঙ্কটে পড়ে। এমনকি আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ধারণকারী কোম্পানি ফিচকে তার রেটিংস পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে। ফিচ গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের রেটিং কমিয়েছে। পটপরিবর্তনের পরও রেটিংসে পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে ফিচ রেটিংসকে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, সামগ্রিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও সকল বিষয়কে বিবেচনা করে বাংলাদেশকে নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে ফিচের। মুখপাত্র বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ফিচ রেটিংসকে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে। তখন বৈদেশিক ঋণ বা সহায়তা পাব না। যেটুকু সময় আছে তার থেকে যাতে বঞ্চিত না হয়, তাই রেটিং ফিচকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার কথাও বলা হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশের ফরেন কারেন্সি ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) ‘বিবি মাইনাস’ থেকে ‘বি প্লাস’ করেছিল ফিচ রেটিংস। দেশের অর্থনীতি-সম্পর্কিত পূর্বাভাস স্থিতিশীল রাখা হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি ঋণমানে সেসময় অবনমন করা হলেও বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ঋণমান ‘বি’ অপরিবর্তিত রাখা হয়। এছাড়া স্থানীয় মুদ্রায় দীর্ঘমেয়াদি আইডিআর অবনমন করে ‘বিবি মাইনাস’ থেকে ‘বি প্লাস’; স্থানীয় মুদ্রায় স্বল্পমেয়াদি আইডিআর বি-তে অপরিবর্তিত এবং দেশের সীমা বা কান্ট্রি সিলিং বিবি মাইনাস থেকে অবনমন করে বি প্লাস করা হয়। একটি দেশের দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াুদ ঋণমান নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফিচ এ কাঠামো ব্যবহার করে। এছাড়া তারল্য সঙ্কট নিয়ে দুর্বল ব্যাংকের অনিয়মের কারণে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। এর আগে গত ফেব্রæয়ারিতে আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি মুডিস বলেছে, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংস্থাটি বাংলাদেশের ঋণমান ‘বি-ওয়ান’ থেকে কমিয়ে ‘বি-টু’তে নামিয়েছে। অর্থাৎ এই পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ অবস্থায় চলে গেছে। বিশ্বখ্যাত ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে সম্পদের ঝুঁকি বাড়ছে ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, যা ব্যাংকগুলোর মুনাফা ও স্থিতিশীলতার ওপর চাপ তৈরি করবে।
এদিকে সম্প্রতি দেশের ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোকে একীভ‚ত করার ঘোষণা দিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, বিদ্যমান অধিকাংশ ইসলামি ব্যাংক বর্তমানে সংকটে থাকায় দেশের ইসলামি ব্যাংকিং খাতকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানো হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স-২০২৫ অনুমোদন করেছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো এই অধ্যাদেশের আওতায় অবসায়ন বা মার্জার হতে পারে। এতে আমানতকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
অথচ দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এমনকি প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের তুলনায় বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে এস আলম গ্রæপ একের পর এক বেশ কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনার দায়িত্ব নিলে এই খাত সংকটে পড়ে।
ইসলামি ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তার কারণে বিগত কয়েক বছরে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও গেøাবাল ইসলামী ব্যাংক প্রচলিত ব্যাংকিং থেকে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। অনেক প্রচলিত ব্যাংক এখন ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরিত হতে আগ্রহী। যদিও সেসব ব্যাংক ডেডিকেটেড শাখা বা উইন্ডোর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে।
বর্তমানে দেশে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক আছে। সেগুলো হলো-ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গেøাবাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক।
গত বছর শেষে এই ১০ ব্যাংকের মোট আমানত ছিল তিন লাখ ৮৫ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এদের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ চার লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
একাধিক ইসলামী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা জানিয়েছেন, ১০ ইসলামী ব্যাংককে একীভ‚ত করে দু’টি বড় ব্যাংক গঠন বাস্তবসম্মত বলে বিবেচিত হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের একীভ‚তকরণের বক্তব্যে আমানতকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বলেও মনে করেন তারা।
ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তাফা কে মুজেরি বলেন, ব্যাংকের সংখ্যা কমানোর চেয়ে সুশাসন ফিরিয়ে আনা ও আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, সুশাসন নিশ্চিত না করে যদি ব্যাংকের সংখ্যা কমানো হয় তাহলে ভালো ফল আসবে না। মুস্তাফা কে মুজেরি বলেন, ব্যাংকিং খাতের সমস্যা দূর করে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যায়নি। তিনি মনে করেন, ইসলামী ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো সুশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সরকার বিদ্যমান ব্যাংকগুলোকে একীভ‚ত করে দু’টি বড় ইসলামী ব্যাংক করলে সমস্যার সমাধান হবে না। একই সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের সংখ্যা কমানোর পরিবর্তে সেগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। শুধু সংখ্যা কমানোই সমাধান নয়।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ব্যাংক খাতে লুটপাটের একটি অন্যতম মাধ্যম ছিল ঋণ পুনঃতফসিল। বিভিন্ন মেয়াদি ঋণ পুনঃতফসিল করে ঢেকে রাখা হয়েছিল খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র। অনৈতিকভাবে সুযোগ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন গ্রæপ ও লুটেরা গোষ্ঠীকে। মাঝখানে কিছুটা কমলেও আবারও পুনঃতফসিলের হিড়িক দেখা গেছে দেশের ব্যাংকগুলোতে। গত তিন মাসে প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এছাড়া এক বছরে ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এত বিপুল পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিলের পরও একই সময় খেলাপি ঋণ প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
পুনঃতফসিলের পরও জ্যামিতিক হারে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। এর মধ্য খেলাপি ঋণ পরিণত হয়েছে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ২০ দশমিক ২ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে মোট বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণের হার কিছুটা বেড়েছে। এই হার আগের প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) থেকে কিছুটা বেড়ে ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে এই হার ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।
দেশের শীর্ষ ব্যবসাযীদের সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, খারাপ ব্যাংকগুলো আস্থা অর্জন না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে সাহায্য করতে হবে। অন্যথায় ব্যাংকিংখাত তথা আর্থিক খাতের প্রতি আস্থাহীনতা দূর হবে না।