Image description

জামালপুরের ইসলামপুর রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারির মহোৎসব চলছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অসাধু কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীরা। ফলে প্রতিনিয়ত তারা ঠকছেন বলেও জানান।

প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালেও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন যাত্রীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের টিকিট অনলাইনে প্রকাশ হওয়ামাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব টিকিট বুক হয়ে যায়। এরপর একই টিকিট দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে বিক্রি করা হয় অসহায় যাত্রীদের কাছে। বিশেষ করে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের টিকিট নিয়ে এই অসাধু ব্যবসা চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল রাইয়ান নামে এক যুবক টিকিটের অতিরিক্ত দাম দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে প্ল্যাটফর্মে মারধর করা হয়। এ সময় তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় চক্রের সদস্যরা। পরে স্থানীয় নেতা নাজমুল আজাদীর হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো অপরাধী গ্রেপ্তার হয়নি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রতি বছরই এই সমস্যা। প্রশাসন শুধু আশ্বাস দেয়, সমাধান দেয় না।

স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের রহমান প্রশ্ন করেন, ইউএনও সাহেব কি জানেন না, নাকি জানার ভান করছেন?

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গফুর ও তার ছেলের নেতৃত্বে একটি চক্র নিয়মিত এই ব্যবসা চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে স্টেশন কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪ সালে একবার থানায় অভিযোগ করা হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি।

জানতে চাইলে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের ছবি প্রকাশ ও স্থানীয়দের আস্থা রাখতে বলছেন তিনি।

এদিকে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন স্থানীয় যাত্রীরা।