
‘কিংস পার্টি’ হিসাবে পরিচিত রাজনৈতিক দলগুলো এখন বিলীনের পথে। তাদের উত্থান রাজসিক হলেও পতন হয়েছে স্বাভাবিক গতিতে। ‘ওয়ান-ইলেভেন’-এর (২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি) পর দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়। এসব দল সবার কাছে ‘কিংস পার্টি’ হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি পায়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো শুরুতে যথেষ্ট সরব থাকলেও এখন চুপসে গেছে। একই পরিণতি হয়েছে আওয়ামী লীগ সকারের আমলে জন্ম ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত দলগুলোরও। জাতীয় নির্বাচনের আগে গড়ে ওঠা এসব দলের শুরুতে চাকচিক্য সুবিশাল কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকলেও ভোটের শেষে আর খোঁজ নেই। এর মধ্যে অনেক দল হারিয়ে গেছে, আবার কোনোটি ভেঙে হয়েছে খণ্ড খণ্ড। রাজধানীর বাইরে ভঙ্গুর দলগুলোর তেমন কোনো সাংগঠনিক কাঠামো নেই। আর যেসব জেলায় কাঠামো আছে, সেখানে নেই তাদের কোনো কার্যালয়। আবার কোথাও কার্যালয় থাকলেও নেই কোনো সাইনবোর্ড। কয়েকটির আবার কোনো অস্তিত্বও নেই। সেসময় প্রকাশ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে নানা বক্তব্য দিলেও এখন দলগুলোর নেতাদের দাবি-তারা কেউ কিংস পার্টিভুক্ত ছিলেন না। এমন বাস্তবতার মধ্যেই গত আট মাসে ২৫টি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
‘ওয়ান-ইলেভেনের’ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর যেসব দল কিংস পার্টি হিসাবে পরিচিতি পায়, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিএনপির সাবেক নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহম্মদের ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, শেখ শওকত হোসেন নীলুর নেতৃত্বে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। একইভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিংস পার্টি হিসাবে পরিচিতি পায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। আর জাগপাসহ পুরোনো আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর তাদের বেশকিছু সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডের কারণে কিংস পার্টি হিসাবে খ্যাতি পায়। তবে দলগুলোর শীর্ষ বা শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতা স্বীকার করেন না তারা কিংস পার্টির সঙ্গে জড়িত বা তাদের দল কিংস পার্টি। তাদের প্রায় সবারই বক্তব্য, তারা কষ্ট করে দল দাঁড় করিয়েছেন। এতে কোনো সরকারের কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের কাছে কিংস পার্টি সম্পর্কে যুগান্তরের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থায়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমমনা উপদলগুলোকে একত্রিত করে (একই মতাদর্শে বিশ্বাসী) দল গঠনের প্রক্রিয়াকেই কিংস পার্টি বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতির যে ইতিহাস, সেখানে বিভিন্ন সময়ে কিংস পার্টি নামে কিছু দল গঠনের চেষ্টা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে তা সফল হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলেও কিংস পার্টি হয়েছে, তাদেরও একই পরিণতি। ইতিহাস বলে, কিংস পার্টির উদ্যোগ সবসময়ই ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, রাজনৈতিক দল তৈরি হয় জনসাধারণের প্রয়োজনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা (কিংস পার্টি গঠন) আসলে একটি ভুল প্রচেষ্টা বলে মনে করি। কারণ, ফেরদৌস আহমদ কোরেশী কত বড় গাড়িবহর নিয়ে ওয়ান-ইলেভেনপরবর্তী সময়ে পুরো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল করার প্রচেষ্টা চালালেন। কিন্তু একেবারেই জনসমর্থন পেল না। এরকম আরও উদাহরণ আছে। এ ধরনের উদ্যোগ সরকারকে দুর্বল করে ফেলে, সরকার সেটা বুঝতে পারে না। আন্তর্জাতিক খেলাও এ ধরনের উদ্যোগের মধ্যে থাকে। জনগণের সমর্থনে কখনো কিংস পার্টি হয় না। কিংস পার্টি হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায়। এ কারণেই জনসমর্থন পায় না। উত্থান রাজকীয় হলেও জনগণ গ্রহণ না করায় পরবর্তী সময়ে হারিয়ে যায় এসব দল। এটাই বাস্তবতা।’
২০০৭ সালের ২১ জুন বিএনপির সাবেক নেতা ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি গঠন করা হয়। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের একটি বড় অংশকে এ দলে টেনে আনা সম্ভব হবে, দল ক্ষমতায় আসবে। কিছুদিন এ ধরনের প্রচার চললেও শেষ পর্যন্ত বড় দলের কোনো শীর্ষস্থানীয় নেতা যোগ দেননি নতুন এই দলে। এখন দলটির নিবন্ধনও নেই। তবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলটি আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। পিডিপির সাবেক এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, বিএনপি জোট সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টরের উপদেষ্টা ছিলেন-এমন একজনকে দলের চেয়ারম্যান পদে থাকার প্রস্তাব দেবেন। তিনি রাজি হলে দল আবারও সক্রিয় হবে।
এ প্রসঙ্গে পিডিপির সাবেক মহাসচিব প্রিন্সিপাল এমএ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর মৃত্যুর পর দল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এখন পিডিপির নিবন্ধন নেই। গত বছরের ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিল করে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আমাদের মামলা আছে। দলের এখন কোনো অবস্থান নেই, কমিটিও নেই। নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি।’
২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে কল্যাণ পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। তবে দলটি মূলধারার রাজনীতিতে মোটামুটি ভালো অবস্থানে ছিল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ছিল দলটি। কিন্তু ২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিলে বিএনপিসহ সমমনাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। দলটি ভেঙে দুই খণ্ড হয়। একতরফা ও বিতর্কিত ভোটে অংশ নিয়ে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন মূল অংশের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। কিন্তু সাত মাসও সংসদ-সদস্য থাকতে পারেননি তিনি। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর সংসদ বিলুপ্ত করা হয়। এখন দলটি কোনো কর্মকাণ্ডে নেই। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম যুগান্তরকে বলেন, ‘দলের এখন সক্রিয়তা কম। চুপচাপ থেকে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’ কিংস পার্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কথা বলতে মানুষেরও তো আর বাধা নেই। কারও মুখে তো কিছু লাগাম দেওয়া যাবে না। তবে নিজেদের কষ্টে, পরিশ্রমে ও সাংগঠনিক শক্তিতে আমরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলাম। আমরা তো টিকে আছি।’
২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহম্মদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন। দল প্রতিষ্ঠার আগেই কাজী ফারুক রাজনীতিতে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছিলেন। সেসময় রাজধানীতে বেশ বড় একাধিক সমাবেশ করেছিলেন। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নিবন্ধন আইনের শর্ত পূরণ করতে না পারায় দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এখন এই দলের কোনো অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া ২০০৭ সালের ১৯ জুলাই শেখ শওকত হোসেন নীলুর নেতৃত্বে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেসময় এ দলের নেতারা অনেক দাপুটে ছিলেন। ২০১৩ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ১৮ দলীয় জোটে যোগ দেন। ২০১৫ সালে নীলু বিএনপি জোট থেকে বের হলে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে একটি অংশ জোটে থেকে যায়। এ অংশটি এখনো বিএনপির মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটে রয়েছে। অন্যদিকে শেখ শওকত হোসেন নীলুর মৃত্যুর পর এখন তার ছোট ভাই শেখ ছালাউদ্দিন ছালু মূল অংশের (নিবন্ধিত) চেয়ারম্যান। ছালাউদ্দিন ছালু যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুরানা পল্টনে। এছাড়া আমাদের ৩৫টি জেলায় কার্যালয় আছে। কমিটি আছে প্রায় সব জেলায়।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আরেক কিংস পার্টি খ্যাত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টকে (বিএনএফ) নিবন্ধন দেয় তদানীন্তন নির্বাচন কমিশন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রধান আবুল কালাম আজাদ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন। সেসময় প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী, দলের কার্যালয়টির অবস্থান মিরপুর ডিওএইচএসে। ঠিকানাটি মূলত আবুল কালাম আজাদের বাসার বলে জানা গেছে। পট পরিবর্তনের পর দলের প্রধান কোথায় আছেন, তা জানেন না নেতাকর্মীরা। দলটির নেই কোনো কর্মকাণ্ডও।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাঠে নেমেছিল তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মতো ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ঘোষণা দিয়েই অনেকটা ঝড়ের গতিতে রাজনীতিতে উত্থান ঘটে তাদের। নানা মহলে এসব দল নিয়ে বেশ আলোচনাও ছিল। তবে বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে কোনো আসনেই জয়ী হতে পারেনি। বরং এসব দলের প্রার্থীরা হারিয়েছেন জামানত। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে দলগুলো এখন অস্তিত্ব সংকটে। নেই কোনো কর্মকাণ্ডে কিংবা আলোচনায়ও। নির্বাচনের আগে বিশাল রাজকীয় কার্যালয় নিলেও এখন তাও নেই। আগামী দিনের কর্মকাণ্ড নিয়েও নেতাকর্মীরা ধোঁয়াশায়। অনেকে আবার আগের দল বিএনপিতেও ফিরতে চান।
বিএনএম-এর সাবেক মহাসচিব মো. শাহজাহান যুগান্তরকে বলেন, ‘ওই সময়ের আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা বা কিছু হয়নি। দলের নিবন্ধন ঠেকানোর জন্য নির্বাচনে গিয়েছিল। আমি এখন ওই দলের সঙ্গে নেই। নির্বাচনের পরপরই পদত্যাগ করেছি। দলের কার্যক্রম মনে হয় না তেমন কিছু আছে। কার্যালয়টাও নেই।’
গত আট মাসে ২৫ দল : শেখ হাসিনার পতনের পর অর্থাৎ ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আট মাসে নতুন অন্তত ২৫টি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। সে হিসাবে প্রতিমাসে গড়ে তিনটি করে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দলগুলোর মধ্যে আছে-নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিবি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি, ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি, সমতা পার্টি, বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি), সার্বভৌমত্ব আন্দোলন, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ মুক্তির ডাক ৭১, বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ, দেশ জনতা পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি, বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএসডিপি), বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, জনতার বাংলাদেশ পার্টি, জনতার দল, গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ শান্তির পার্টি, আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি), জনতা পার্টি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ নতুন ধারা জনতার পার্টি। নতুন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় রয়েছে এনসিপি। দলটি এখনও নিবন্ধন পায়নি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেই এসব দলের উৎপত্তি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, নির্বাচন এগিয়ে এলে এ ধরনের দল গঠনের তোড়জোড় দেখা যায়। একই সঙ্গে এর পেছনে থাকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হীন উদ্দেশ্যও। অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম মনে করেন, এর মধ্যে কয়েকটি দলের আত্মপ্রকাশ পাঁচতারকা হোটেল কিংবা বাইরে রাজসিকভাবে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এসবের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। তার মতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে কিংস পার্টির জন্ম হয়, পরে আবার হারিয়ে যায়-ইতিহাস তা-ই বলে।