Image description

রাজধানীর বিহারী ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি করছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রবাসী মশিউর রহমান মশী। দুবাই বসেই কয়েকজন সন্ত্রাসী দিয়ে এ কাজ করছেন তিনি। চাঁদা দিতে না চাইলেই গুলি করে ভয় দেখাচ্ছে তার ক্যাডাররা।

মশীর তিন সহযোগীকে গ্রেফতারের পর রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে মিন্টোরোডে সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মিজানুর রহমান এসব কথা জানান।

সম্প্রতি পর পর তিনদিন বিহারী ক্যাম্পে গুলির ঘটনায় মশীর তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি পিস্তল ও থানা থেকে লুট হওয়া গুলি। চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে ডিবি।
 
জানা যায়, গত ১১ থেকে ১৩ এপ্রিল, পর পর তিনদিন রাজধানীর পল্লবীর মিল্লাত বিহারী ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে অস্ত্র হাতে মহড়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। ৪-৫ মিনিটে ৮-১০ জন ক্যাম্পে এসে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই পুরো ক্যাম্প ও এর আশপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে শুরু হয় আতঙ্ক। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে পল্লবীতে মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে গুলির ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও ২২ রাউন্ড গুলি। এ ঘটনায় সোহেল নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশও। 
 
সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতার হুদা মামুন, অরিন ও সোহেল মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মশিউর রহমান ওরফে মশীর ক্যাডার। মশী দুবাই বসেই এদের দিয়ে বিহারী ক্যাম্প ও এর আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে। 

মশীর পলাতক ক্যাডারদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।