
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাপক রদবদল ঘটেছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে। বিশেষ করে অনেক কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে, বাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠানো হয়েছে অনেককে। সবকিছু মিলিয়ে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মকর্তার তীব্র সংকট।
কর্মকর্তা সংকটে অনেকে কাজের ভারে ন্যুব্জ, সামলাতে হচ্ছে একাধিক অনুবিভাগ, অধিশাখা ও শাখার দায়িত্ব। কোনো কোনো পদে আবার কর্মকর্তা নেই। যদিও সহকারী সচিব থেকে সচিব পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুমোদিত পদের চেয়ে বেশি কর্মকর্তা রয়েছেন।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, স্থায়ী পদের হিসাব বাস্তব অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পদের চেয়ে বেশি কর্মকর্তা রয়েছে, এটি সঠিক নয়। কর্মকর্তার সংকট রয়েছে। এছাড়া গত কয়েক বছর বিসিএসের মাধ্যমে কর্মকর্তা নিয়োগ না হওয়ায় একটি শূন্যতাও তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেককে ওএসডি করা হয়েছে, বাধ্যতামূলক অবসরে গেছেন কেউ কেউ। ফলে প্রশাসনে কর্মকর্তা সংকট তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক অতিরিক্ত সচিব একাধিক অনুবিভাগ, যুগ্মসচিব একাধিক অধিশাখা, উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব একাধিক অধিশাখা-শাখার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কেউ কেউ একসঙ্গে চারটি ডেস্কে দায়িত্ব পালন করছেন।
কর্মকর্তা সংকট ও একজনের একাধিক দায়িত্ব থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই কর্মকর্তাদের চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। তারা কাজে সঠিকভাবে মনোযোগ দিতে পারছেন না। হিমশিম খেতে হচ্ছে। এটি সার্বিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে প্রশাসনে। কাজে দেখা দিচ্ছে ধীরগতি।
৫ আগস্টের পর প্রশাসনিক কারণে ১২৫ জনের মতো কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়। এছাড়া অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, ছুটি এবং প্রেষণের মতো কারণে ওএসডিতে রয়েছেন। -জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়া বেশির ভাগ কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব জানান, একজনকে দিয়ে একাধিক অনুবিভাগের দায়িত্ব সামলালে কাঙ্ক্ষিত গতি আসবে না, এটাই স্বাভাবিক। অনেক সময় দুই ডেস্কের কাজ সমন্বয়ে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। তারপরও আমরা যতটা সম্ভব চালিয়ে নিচ্ছি।
স্থায়ী পদ ও কর্মকর্তার সংখ্যা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রশাসনে সিনিয়র সচিবের ১০টি, সচিবের ৭৯টি, অতিরিক্ত সচিবের ২১২টি, যুগ্মসচিবের ৫০২টি, উপসচিবের এক হাজার ৭৫০টি এবং সিনিয়র সহকারী সচিবের এক হাজার ১৪৩টি পদ রয়েছে। এর বিপরীতে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৩৭৯ জন, যুগ্মসচিব এক হাজার ৩৬ জন, উপসচিব এক হাজার ৪০৩ জন ও সিনিয়র সহকারী সচিব ২ হাজার ৩৬ জন। উপসচিব ছাড়া সব ক্ষেত্রেই কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর প্রশাসনিক কারণে ১২৫ জনের মতো কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়। এছাড়া অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, ছুটি এবং প্রেষণের মতো কারণে ওএসডিতে রয়েছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
যা বলছেন দায়িত্বশীলরা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘উপসচিব পদে কর্মকর্তা সংকট রয়েছে। তবে অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব পদে অতিরিক্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। একটু দেখে শুনে নিয়োগ দিতে হচ্ছে। আমরা একটু চুজি বেশি তো। আমরা চাই ভালো রেপুটেশনের (সুনাম) কর্মকর্তারা আসুক। খালি পদগুলোতে এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা খোঁজাখুজি করছি।’
তিনি বলেন, ‘একাধিক ডেস্কের দায়িত্ব থাকায় কর্মকর্তাদের একটু তো চাপ পড়ে। একই সঙ্গে যখন একাধিক ডেস্কের কাজ পড়ে কোনো কোনো কর্মকর্তার জন্য তো কঠিন হয়ে যায়। আমরা এ বিষয়ে শিগগির পদক্ষেপ নেব।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘পদের চেয়ে বেশি কর্মকর্তা আছে কথাটা ওইভাবে সঠিক নয়। অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদ তো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ধরে করা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন সংস্থা আছে, সেখানে যে অতিরিক্ত সচিবের পদ আছে সেগুলো কিন্তু অনুমোদিত পদের হিসাবের মধ্যে নেই। এছাড়া ১ হাজার ১০০ প্রকল্প রয়েছে, এসব প্রকল্পের পিডিরা (প্রকল্প পরিচালক) কিন্তু অতিরিক্ত সচিব, তাদের হিসাব কিন্তু স্থায়ী পদের মধ্যে আসে না। কিন্তু এসব পদে তো আমাদের পদায়ন করতে হয়। যুগ্মসচিব ও উপসচিবের ক্ষেত্রেও এটা হয়। তাই পদের চেয়ে বেশি কর্মকর্তা আছে, এটা বলা কঠিন।’
‘একটু দেখে শুনে নিয়োগ দিতে হচ্ছে। আমরা একটু চুজি বেশি তো। আমরা চাই ভালো রেপুটেশনের (সুনাম) কর্মকর্তারা আসুক। খালি পদগুলোতে এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা খোঁজাখুজি করছি।’ -মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মাঝখানে রেগুলার ব্যাচ আমরা এক-দুবার পাইনি। বিসিএসে দু-একটি রেগুলার ব্যাচ মিস হওয়ার কারণে কর্মকর্তা আসেনি। এটাও কিন্তু একটা বিষয় আমরা অফিসার পাচ্ছি না। গ্যাপের কারণে সম্প্রতি আমাদের বিপিএটিসিতে (বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) একসঙ্গে ৬০০ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।’
ওএসডি কর্মকর্তা খুব বেশি নেই দাবি করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘২৪-ব্যাচের যে কর্মকর্তারা পদোন্নতি পেয়েছেন তাদের পোস্টিং দিলে এ সংকট থাকবে না। যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির পর এখন অতিরিক্ত সচিব ও উপসচিব পদে পদোন্নতির কার্যক্রম চলমান।’
সবচেয়ে বেশি সংকট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মকর্তাদের সংকট সবচেয়ে বেশি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মোহাম্মদ খালেদ রহিম মূলত জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব। একইসঙ্গে তিনি অতিরিক্ত হিসেবে প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ, অতিরিক্ত সচিবের দপ্তর, কমিটি ও অর্থনৈতিক অনুবিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। একসঙ্গে চারটি অনুবিভাগ সামলাচ্ছেন খালেদ রহিম।
এ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. জিয়াউল হক একই সঙ্গে আইন-১ অধিশাখা ও আইন-২ অধিশাখা (অতিরিক্ত দায়িত্ব), যুগ্মসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি অধিশাখার দায়িত্বে।
উপসচিব মুহাম্মদ নাজমুল হক একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা বৈঠক অধিশাখা, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখা ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সমন্বয় অধিশাখায় দায়িত্ব পালন করছেন। উপসচিব মোহাম্মদ এনামুল আহসান অভিযোগ ব্যবস্থাপনা অধিশাখা ও সুশাসন অধিশাখা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এবং উপসচিব সরওয়ার কামাল সামাজিক নিরাপত্তা শাখা, নিকার-১ শাখা ও নিকার-২ শাখা সামলাচ্ছেন।
উপসচিব কাউসার আজিজ একসঙ্গে চারটি ডেস্কের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি কর্ম সম্পাদন ব্যবস্থাপনা (মূল্যায়ন) অধিশাখা, কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা (নীতি ও সমন্বয়) শাখা, কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ-১) অধিশাখা ও কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ-২) অধিশাখা দেখছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিবদের মধ্যে ইয়াসমিন নাহার রুমা রিপোর্ট অধিশাখা ও রেকর্ড শাখা; সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম ইবনুল হাসান ইভেন বিধি শাখা ও মন্ত্রিসেবা শাখা; মো. নিকারুজ্জামান সাধারণ সেবা-১ শাখা ও সাধারণ সেবা-২ শাখা; মো. ইমরান হোসেন প্রশাসন ও শৃঙ্খলা শাখা এবং কেন্দ্রীয় পত্র গ্রহণ ও অভিযোগ শাখা; জাকির হোসেন আইন-১ শাখা, আইন-২ শাখা ও কাউন্সিল অফিসার; এস এম মুনিম লিংকন আইন-৪ শাখা ও বিকল্প কাউন্সিল অফিসার এবং আইন-৩ শাখা; মো. আরিফুল হক মৃদুল জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি পরিবীক্ষণ শাখা ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি নীতি শাখা; মো. সাদিকুর রহমান শুদ্ধাচার শাখা ও তথ্য অধিকার অধিশাখা; শেখ জোবায়ের আহমেদ পরিকল্পনা ও বাজেট শাখা, ই-গভর্নেন্স-১ অধিশাখা ও ই-গভর্নেন্স-২ অধিশাখা; মো. নাজিমুল হায়দার প্রশাসনিক উন্নয়ন ও সমন্বয়-১ শাখা এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন ও সমন্বয়-২ শাখার দায়িত্ব পালন করছেন।
সংকট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েও
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, তিনি অতিরিক্ত হিসেবে প্রশাসন অনুবিভাগের দায়িত্বও পালন করছেন।
আইন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে রয়েছেন মোজাফফর আহমেদ। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে সংস্কার ও গবেষণা অনুবিভাগও দেখভাল করছেন। একই সঙ্গে সিপিটি (ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও ট্রেনিং) অনুবিভাগ ও বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন এ এন এম মঈনুল ইসলাম।
অতিরিক্ত সচিব কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগও তার অধীনে রয়েছে।
যুগ্মসচিব ডা. মো. নূরুল হক শৃঙ্খলা-২ অধিশাখা ও তদন্ত-২ অধিশাখা এবং মোছাম্মাৎ ফারহানা রহমান সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-৬ শাখা এবং সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-৫ শাখা সামলাচ্ছেন।
অন্যান্য মন্ত্রণালয়-বিভাগেও একই অবস্থা
ভূমি মন্ত্রণালয়ের মো. মাহমুদ হাসান অধিগ্রহণ ও খাসজমি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব। তিনি অতিরিক্ত হিসেবে প্রশাসন অনুবিভাগের দায়িত্বেও রয়েছেন। অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী উন্নয়ন অনুবিভাগ ছাড়াও ডিজিটালঅইজেশন, নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও পারফরম্যান্স (ডিকেএমপি) অনুবিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।
এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শফিকুল ইসলাম একই সঙ্গে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন-২ এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন-৪ শাখা সামলাচ্ছেন। অন্যদিকে, উপসচিব এ টি এম আজহারুল ইসলাম পরিকল্পনা ও উন্নয়ন-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন-৩ শাখার দায়িত্বে রয়েছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে প্রশাসন অনুবিভাগ এবং সমন্বয় অনুবিভাগ সামলাচ্ছেন।
আব্দুন নাসের খান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিমান ও সিভিল এভিয়েশন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব। একই সঙ্গে তিনি অতিরিক্ত হিসেবে প্রশাসন অনুবিভাগের দায়িত্বেও রয়েছেন।
এই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জেবুন নাহার হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেলের সহকারী নিয়ন্ত্রক, বাজেট-১, আইন-১ শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। অপর উপসচিব দীপক কুমার রায় প্রশাসন-২ ও প্রশাসন-৩ শাখায় দায়িত্ব পালন করছেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুজুর আলী আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অডিট অনুবিভাগ, উন্নয়ন অনুবিভাগ; অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অনুবিভাগ এবং আইন অনুবিভাগ; অতিরিক্ত সচিব মো. খোরশেদ আলম হাসপাতাল অনুবিভাগ ছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. হেলাল উদ্দীন বাজেট অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ছাড়াও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব আলম, যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল্লাহ হারুন, উপসচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন একাধিক ডেস্কে দায়িত্বে রয়েছেন। সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমা সিদ্দিকা বেগম একসঙ্গে চারটি শাখা সামলাচ্ছেন।
এছাড়া মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
আবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অনেক পদে কর্মকর্তা নেই।