
মিয়ানমারে সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থানটি ঘটে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর থেকেই দেশটিতে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা চলছে। জান্তা সরকারের সহিংস দমন-পীড়নের বিপরীতে তৃণমূলে বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিরোধ দেশটিকে বহুধা বিভক্ত করে ফেলেছে। মাত্র চার বছরের কিছু বেশি সময়ে সারা দেশে পাঁচ শতাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। পুরোনো জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলো তো আছেই।
গোষ্ঠীগুলো জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্ত গেরিলা যুদ্ধ শুরু করলেও তা এখন পূর্ণাঙ্গ, বহুমুখী সংঘাতে রূপ নিয়েছে। সামরিক বাহিনী ও বিভিন্ন প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মধ্যে ১৬ হাজারের বেশি সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ।
এই গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে বড় মোড় আসে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর। সেদিন থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স—আরাকান আর্মি (এএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) ও তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ‘অপারেশন ১০২৭’ শুরু করে। অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে তারা জান্তার ওপর বড় আঘাত হানে। জোটটি মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয় এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলো থেকে সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত করে।
তবে সবচেয়ে বড় প্রতীকী জয় সম্ভবত ছিল এমএনডিএএ ও মিত্রদের উত্তর শান রাজ্যের লাশিওতে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক সামরিক কমান্ড দখল। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন অর্জন।
আপাতদৃষ্টিতে মিয়ানমারে মূল খেলোয়াড় জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীরা হলেও দেশটির রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে চীন দীর্ঘদিনের নীরব কিন্তু শক্তিশালী খেলোয়াড়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বেইজিং ‘হস্তক্ষেপ না করার’ নীতি মেনে চলার কথা বলে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে বেইজিং সেই নীতি পরিবর্তন করছে। দেশটির লক্ষ্য হলো—মিয়ানমারে চলমান অস্থিরতা থেকে নিজেদের কৌশলগত বিনিয়োগ রক্ষা করা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখা।
‘অপারেশন ১০২৭’—এর দ্বিতীয় ধাপের পর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীনের ভূমিকা লক্ষণীয়ভাবে আরও দৃঢ়, এমনকি জবরদস্তিমূলক হয়ে ওঠে। ঐতিহাসিকভাবে জান্তা সরকার ও জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে চীনকে নিরপেক্ষ সহায়তাকারী হিসেবে দেখা হলেও দেশটির সর্বশেষ মধ্যস্থতা আগের অবস্থান থেকে স্পষ্ট ‘বিচ্যুতি’।
এবার বেইজিং দৃঢ়ভাবে এমন একটি সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছে, যা তার নিজের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। তারা সামরিক জান্তা ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়। চীন নিশ্চিত করেছে, যাতে কোনো একক পক্ষ চীনের আঞ্চলিক প্রভাবকে ক্ষুণ্ন করার মতো যথেষ্ট শক্তি অর্জন করতে না পারে।
কূটনৈতিক চাপ ও অর্থনৈতিক প্রণোদনা—দুয়ে মিলে চীন কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে সফল হয়েছে। চলতি এপ্রিলে নয় মাস লাশিও দখলে রাখার পর এমএনডিএএ শহরটি জান্তার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। চীনা হস্তক্ষেপ ছাড়া এই পদক্ষেপ অকল্পনীয়। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি মিয়ানমারের মাটিতে ফলাফল নির্ধারণে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত।
কে আলোচনার টেবিলে বসবে, আর কে বসবে না—বেইজিং কেবল সেটিই নির্ধারণ করছে না, বরং আলোচনায় কে কী পাবে, সেটিও নির্ধারণ করে দিচ্ছে। মিয়ানমারের প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর জন্য এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। চীনের এই দৃঢ়তা কেবল সামরিক কৌশলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রকেও নতুন করে সাজাচ্ছে। চীন যখন মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তখন এর সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারে তিনটি।
প্রথমত—চীন সামরিক বিজয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর কৌশলগত অর্জনকে সক্রিয়ভাবে সীমিত করছে। প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর জন্য চূড়ান্ত কৌশল স্পষ্ট—সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে সামরিক জান্তাকে উৎখাত করা। এই ধারণা জনমত ও কৌশলগত পরিকল্পনা উভয় ক্ষেত্রেই প্রাধান্য বিস্তার করেছে।
তবে চীনের জবরদস্তিমূলক মধ্যস্থতার ধরন এই উদ্দেশ্যকে সূক্ষ্মভাবে ক্ষুণ্ন করে। প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে থাকা প্রতিটি শহর বা নগর নিয়ে বেইজিং হয়তো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না, তবে তার স্বার্থ ঝুঁকির মুখে পড়লে হস্তক্ষেপ করার নমুনা দেশটি দেখিয়েছে। এটি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়—প্রতিরোধ বাহিনীগুলো কত দূর যেতে পারবে তার একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে এবং এটি নির্ধারণ করে দেবে চীনই।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—জান্তা বা প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কোনো এক পক্ষকে বেছে নেওয়ার অবস্থা এখন নেই। বরং চীনের তৎপরতা এখন একটি বৃহত্তর কৌশলগত হিসাবকে প্রতিফলিত করে। এই হিসাবকে মিয়ানমারের অস্থির ক্ষমতার সমীকরণে নিজ হাতে ‘ভারসাম্য’ বজায় রাখার কৌশল বলা যেতে পারে এবং চীন এমনটিই চাচ্ছে।
বেইজিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে ভৌগোলিকভাবে খণ্ডিত মিয়ানমারের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে খণ্ডিত মিয়ানমার অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। দুর্বল ও বিভক্ত—কিন্তু এখনো অখণ্ড—একটি দেশ চীনের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করে। এই কৌশল মিয়ানমার রাষ্ট্রের পতন না ঘটিয়েই আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকির বাইরে থেকে চীনকে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ দেয়। বেইজিংয়ের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি হলো—এমন একটি দুর্বল মিয়ানমার, যাতে তাকে সহজে প্রভাবিত করা যায়, অথচ চীনের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্র হিসেবে অখণ্ড থেকে যায়।
দ্বিতীয় পরিণতি হলো—‘চীনা বৈশিষ্ট্যযুক্ত সংঘাত সমাপ্তি মডেলের’ উত্থান, যা মিয়ানমারের জন্য নির্ধারক ‘নির্দেশিকা’ হয়ে উঠতে পারে। বছরের পর বছর ধরে পশ্চিমা দাতা ও সরকারগুলো মিয়ানমারের শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ, সংলাপ সহজীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করেছে।
তবুও ফলাফল খুবই সীমিত, টেকসই ফলাফল প্রায় হয়নি বললেই চলে। বিপরীতে, চীন এখন নিজস্ব মডেল এগিয়ে নিচ্ছে, যা দৃঢ় মধ্যস্থতা ও যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে। সম্প্রতি লাশিওর নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরে বেইজিংয়ের ভূমিকা এর উদাহরণ।
লাশিও প্রক্রিয়া যদি কার্যকর প্রমাণিত হয়, তবে মিয়ানমারে ভবিষ্যতের সংঘাতগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে এবং বেইজিংয়ের কৌশলগত হিসাব কীভাবে মিয়ানমারের ভূ–কৌশলগত বিষয়াবলিতে পরিণতি পাবে, তার একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে এটি। একই সময়ে উত্তেজনা হ্রাসের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য আরও স্পষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বিভিন্ন সংগঠনগুলোতে অর্থায়ন কমাচ্ছে।
উপরন্তু, বেইজিং কেবল মূল অভ্যন্তরীণ খেলোয়াড়দের ওপরই নয়, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো প্রভাবশালী আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপরও যথেষ্ট প্রভাব রাখে। এই প্রভাব অনিবার্যভাবে প্রতিটি আলোচনা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। তবে চীন সহিংসতা কমাতে সহায়ক হলেও টেকসই শান্তির জন্য প্রয়োজনীয় গভীর কাঠামোগত সংস্কারকে উৎসাহিত করার সম্ভাবনা কম। ন্যায়বিচার, সমতা ও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধানের দ্বারা সংজ্ঞায়িত ইতিবাচক শান্তি বেইজিংয়ের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নাও হতে পারে। আর আজকের মিয়ানমারের প্রেক্ষাপটে এটি বাস্তবসম্মত উদ্দেশ্য বলেও মনে হয় না।
চূড়ান্ত ও সম্ভবত সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিণতিটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে চীনের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত। বর্তমানে বিশ্বমঞ্চে দুটি সম্ভাব্য গতিপথ দেখা যাচ্ছে—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ‘ভূ-রাজনৈতিক উপেক্ষা’ ও ‘ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা’। উভয় পরিস্থিতিই মিয়ানমারের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে।
ভূ-রাজনৈতিক উপেক্ষার ক্ষেত্রে, অন্যান্য সংকট ও অভ্যন্তরীণ অগ্রাধিকারে ব্যস্ত থাকা ক্লান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্ভবত মিয়ানমারকে চীনের কাছেই ছেড়ে দেবে। পাশাপাশি মিয়ানমারের প্রতিবেশীসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলো টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক শাসনের চেয়ে স্বল্পমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও কৌশলগত স্বার্থরক্ষা করাকে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে চীন তার পছন্দের পরিণতির বিরুদ্ধে সামান্যতম প্রতিরোধও চাইবে না এবং নিজস্ব কৌশলগত স্বার্থ অনুযায়ী মিয়ানমারের সংঘাতপরবর্তী রূপান্তরে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুত থাকবে। এই অবস্থান কার্যকরভাবে বেইজিংকে দেশটির ভবিষ্যৎ গঠনের সক্ষমতা দেবে।
তবে বিকল্প পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে। বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার পুনরাবির্ভাবে দেশটিকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা বাড়তে পারে, যা দেশটিকে আরও গভীর বিশৃঙ্খলার মধ্যে ঠেলে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমার ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে। ক্ষমতার কেন্দ্রের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়তে পারে এবং অস্ত্র পাচার থেকে শুরু করে মাদক কারবারের মতো অবৈধ অর্থনীতি এই অস্থিরতায় ফুলেফেঁপে উঠবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, দ্বিতীয় পথটি (ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা) বিপর্যয়কর হতে পারে।
উপেক্ষা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার ব্যর্থতা মিয়ানমারকে এমন এক ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে, যা শান্তি বা সমৃদ্ধি দ্বারা নয়, বরং ভঙ্গুরতা ও বিদেশি হস্তক্ষেপ দ্বারা সংজ্ঞায়িত হবে।
মিয়ানমার ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের আগের রাজনৈতিক সংকটকে অনেক পেছনে ফেলে এসেছে। দেশটি এখন একটি দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। যেখানে সামরিক জান্তা ও প্রতিরোধ বাহিনী উভয়ই নিজ নিজ অনমনীয় এজেন্ডায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটির প্রতি ক্রমবর্ধমানভাবে উদাসীন, বহুমাত্রিক বৈশ্বিক সংকটে বিভ্রান্ত এবং সেখানে নাক গলাতে অনিচ্ছুক। এই প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারকে হয়তো শেষ পর্যন্ত সংঘাত ও খণ্ডিত হওয়ার চক্র থেকে মুক্তির পথ নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পণ্ডিত জন সিডেনহ্যাম ফার্নিভ্যাল একবার সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘কমবেশি দীর্ঘ অরাজকতার পর আমাদের বংশধরেরা হয়তো বার্মাকে চীনের একটি প্রদেশ হিসেবে খুঁজে পাবে।’ বক্তব্যটি অতিশয়োক্তি বা অযৌক্তিক ভীতি তৈরি বলে মনে হতে পারে। কিন্তু গভীর অস্থিরতার এই সময়ে ফার্নিভ্যালের কথাগুলো অস্বস্তিকর প্রাসঙ্গিকতার সঙ্গে অনুরণিত হচ্ছে। মিয়ানমারের আক্ষরিকভাবে চীনের প্রদেশে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম হলেও দেশটির রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক পুনর্গঠনে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব স্পষ্ট ও ক্রমশ নির্ণায়ক হয়ে উঠছে।