Image description

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কুষ্টিয়ার বাজারে সকল প্রকার চালের দাম কমেছে কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা। নতুন চাল বাজারে এলে আরও দাম কমবে বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

মিল মালিকরা বলছেন, বাজারে নতুন চাল শেষ হবার আগেই সরকারকে আমদানি করতে হবে। তা না হলে চালের বাজার আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৬ থেকে ১০ টাকা কমে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৬ টাকায়, যা ছিল ৮৬ টাকা। কাজল লতা ৭৬ থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। আঠাশ ৬৪ টাকা থেকে ৫৮ টাকায়। মোটা চাল প্রতিকেজি ৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

অন্যদিকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে কাটারী চাল ৮২ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৮ থেকে ৯০ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম সারাবাংলাকে বলেন, এখন চালের ভরা মৌসুম কয়েকটি বাদে সব ধরনের  কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীরা আশা করছি ধান উঠলে চালের দাম আরও কমে যাবে।

দাম কমায় সন্তোষ প্রকাশ করে চাল ক্রেতা আজিজুল রহমান সারাবাংলাকে বলেন, গত কয়েক দিন বাজারে চালের দাম কমেছে। এখন সরকারি কর্মকর্তাদের বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে করে আবার হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে না যায়।

কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক জয়নুল আবেদীন প্রধান সারাবাংলাকে বলেন, মিলগেটে চালের ৫০ কেজির বস্তা প্রতি কমেছে ৪০০ টাকা। যেমন- মিনিকেট চাল এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ১০০ টাকায় আর বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬৫০ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, নতুন ধান উঠেছে সে জন্য চালের দাম কম। এই চাল বাজারে শেষ হবার আগেই সরকারকে চাল আমদানি করতে হবে। তা না হলে বাজার আবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

 

সারাবাংলা