Image description

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠিত তরুণ রাজনৈতিক দল এনসিপি। দল গঠনের মাত্র ২ মাসের মধ্যেই দলটির নেতাকর্মীদের ওপর চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য ও দলটির অর্থের উৎস নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। পতিত ফ্যাসিস্টের দোসর ও কালোটাকার মালিকদের কেউ কেউ এনসিপির ডোনার হিসেবে টাকা ঢালছেন এমন অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। এসব অভিযোগ নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

দলের ডোনার বা ব্যয়ভার চালাতে সাহায্য করাদের কেউ কেউ ফ্যাসিস্টের দোসর। বিশেষ করে কালোটাকার মালিকদের কেউ কেউ শেলটার পেতে আপনাদের পেছনে অর্থ ঢালছেন কিনা জানতে চাওয়া হয় আখতার হোসেনের কাছে।

যার উত্তরে এনসিপির এই সদস্য সচিব বলেন, ‘এটা স্পষ্ট করে বলছি যে কোনোভাবেই পতিত স্বৈরাচারের দোসর বা তাদের কোনো অংশের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের ক্ষেত্র যাতে প্রস্তুত না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেসব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো এখনো অভিযোগ হিসাবেই সীমাবদ্ধ।’

দলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত। বিশেষ করে সচিবালয় অথবা বাইরে পুলিশ বা অন্য জায়গাগুলোতে তদবির বাণিজ্যেরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

এ নিয়ে আখতার হোসেনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ যদি চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত হন এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে। আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। কারণ আমাদের ঐকান্তিক চাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি যেন পূর্বের মতো চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজি ঘিরে আবর্তিত না হয়।’

নবগঠিত দল হিসাবে অর্থের উৎসের বিষয়টি এখনো খোলাসা করেনি এনসিপি। যা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে আখতার হোসেন বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায় অডিটের মধ্য দিয়ে দাতাদের নাম এবং তাদের সহায়তার অর্থের পরিমাণসহ আয়-ব্যয়ের প্রতিটি খাত আমরা উল্লেখ করব। এতটুকু বলতে পারি এখন পর্যন্ত সদস্যদের চাঁদা এবং শুভার্থীদের সহায়তায় দলের আর্থিক প্রয়োজন মেটানো হচ্ছে।’