
রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের জায়গা দখল বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মোজাম্মেল হক মজুর বিরুদ্ধে। তিনি ঢাকা ট্রেড সেন্টার (উত্তর) দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ৫৯১টি দোকান বরাদ্দে অনিয়ম ও জালজালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গিয়ে মজুর সম্পদের পাহাড়ের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতি দোকান বরাদ্দের নামে অবৈধভাবে ৭ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে সম্পদের বিবরণ জানতে ২৭ এপ্রিল মোজাম্মেল হক মজুকে তলব করেছে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মদ ১৩ এপ্রিল এক চিঠিতে তাকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২-এ হাজির হতে বলেছেন।
দুদক সূত্র জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মালিকানাধীন বেশ কয়েকটি মার্কেটে দোকান বরাদ্দে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নেয় আফজাল-মজু সিন্ডিকেট। তারা গুলিস্তান হকার্স মার্কেট ও বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট নামে একসময়ের সুপরিচিত মার্কেট দুটি, এখন ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তর এবং ঢাকা ট্রেড সেন্টার দক্ষিণ মার্কেট, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা ও জাকের সুপার মার্কেট দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তরে ১৪৪ ও ঢাকা ট্রেড সেন্টার দক্ষিণে ৪৯টি দোকান বরাদ্দে ছলচাতুরী করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ৬৭৫টি দোকান কাগজপত্র জালিয়াতি করে ভুয়া ছবি ও পরিচয়পত্রের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই মার্কেটে অনুমোদিত দোকানের সংখ্যা ১ হাজার ২৪৫। প্রভাব খাটিয়ে নকশাবহির্ভূত ৬৭৫টি দোকান বানিয়ে বিক্রি করা হয়। সাবেক এমপি আফজাল হোসেন ও তার সহযোগী মোজাম্মেল হক মজু সিন্ডিকেট করে ওইসব দোকান নিয়ে বাণিজ্য করেন। জানা যায়, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মার্কেটে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ছিল ২ হাজার ৩৭০ জন। ২০১২-১৩ সালে আফজাল এবং মজু ৬৭৫ জনকে ভুয়া ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।