Image description

"যদি কনস্টেবল পর্যন্ত বিচার করতে যাই, তাহলে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৫০ বছর লেগে যাবে" — এমন মন্তব্য করে চীফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, “আমাদের মূল ফোকাস হওয়া উচিত অপরাধের মূল সূত্র, মূল হোতাকে চিহ্নিত করা। আর সেই মূল হোতা হচ্ছে শেখ হাসিনা।”

তিনি বলেন, “যেসব গুম, অপহরণ ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সংঘটিত হয়েছে, তার একমাত্র কারণ শেখ হাসিনা। যদি তিনি ক্ষমতায় না থাকতেন, এসব হতো না। তার অমর হওয়ার বাসনা, ক্ষমতার প্রতি তৃষ্ণা, এবং লুটপাটের লালসা—এসবই তাকে একপ্রকার দানবে পরিণত করেছে। সেই দানবিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেই তিনি এসব অপরাধের নির্দেশ দিয়েছেন, এবং তার অধীনস্থ কমান্ডাররা তা বাস্তবায়ন করেছে।”

তাজুল ইসলাম ব্যাখ্যা করেন, “যদি আমরা এই ‘দানবের প্রাণভোমরা’ ধ্বংস করতে পারি, তাহলে নিচের স্তরের ফোর্সগুলোর বিচারের আর প্রয়োজন পড়বে না। কারণ তখন পুরো অপরাধ কাঠামো ভেঙে পড়বে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। এর জন্য জাতির সমর্থন প্রয়োজন।”

 

তিনি আরও বলেন, “অপরাধের মাধ্যমে আমাদের যে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেই বাহিনীগুলোই আমাদের প্রাণ। আমাদের সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা—এগুলোই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ধারক। কিন্তু সেখানে কিছু দুর্বৃত্ত অনুপ্রবেশ করে এসব ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়েছে। এই দায় বাহিনীর নয়, বরং সেই দুর্বৃত্তদের।”

 

তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে আসে, “যে পুলিশ সদস্যরা পুলিশের পোশাকে থেকে অপরাধ করেছে, তারা বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছে, যেমন শেখ হাসিনা রাষ্ট্রকে কলঙ্কিত করেছেন। তাই এই কলঙ্কিত মানুষদের বিচার করতে হবে—জাতিসত্তার প্রয়োজনেই, সভ্যতা ও ন্যায়বিচারের প্রয়োজনেই। যদি আমরা এই রাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে অপরাধীদের বিচারের কোনও বিকল্প নেই।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “আমাদের বাহিনী, যারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক, তারা আবারও জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়ে দেশের সেবা করবে। আমাদের রাষ্ট্রের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে তারা ভূমিকা রাখবে—এটাই স্বাভাবিক।”