Image description

Minar Rashid ( মিনার রশিদ )

আমার পেছনে কিছু অম্বল ঠাকুর তাদের সকল কম্বল বা এসেট নিয়ে লেগে পড়েছেন বলে অনুমিত হচ্ছে ! দেখলাম, এদের কয়েকজন কোমড়ে কাপড় বেঁধে লেগে গেছেন। এদের অধিকাংশ রাজনৈতিক মানসে ডিপলিটিসাইজড, দেশের জন্যে এদের কোনও কনট্রিবিউশন নাই, দেশ, জাতি নিয়ে সিরিয়াস কোনও চিন্তা নাই। এদের অপপ্রচার থামাতে নিজের সম্পর্কে কিছু জিনিস জানানো দরকার বলে মনে করছি।
 
আমি শুধু লেখালেখির মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করিনা। আমার একটি সম্মানজনক পেশা রয়েছে! আমি একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার।
এখনও সেই পেশা থেকেই আমার পরিবারের ব্রেড-বাটারের ব্যবস্থা হচ্ছে।
 
যায় যায় দিন, নয়াদিগন্ত থেকে প্রতিটা কলাম লেখার জন্যে বরাদ্দকৃত টাকাও আমি গ্রহণ করি নাই। পত্রিকা গুলোর কল্যাণ ফান্ডে জমা দিতে অনুরোধ করেছি।
অনেকবার বলেছি, লেখালেখি আমার পেশা নয়, নেশাও নয়, ভেতরের একটা তাগিদ থেকে লিখে থাকি।
 
নিজের বেতনের পয়সায় বেশ কয়েকটি স্কুল প্রতিষ্ঠান করেছি সেই ১৯৯০ সাল থেকেই। এসবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমি। আমার প্রতিষ্ঠিত ইসলামি একাডেমি নামের স্কুলটি সারা উপজেলায় ( ত্রিশাল, ময়মনসিংহ) শ্রেষ্ঠ স্কুল হিসাবে গণ্য ছিল । এখনও সারা উপজেলায় প্রথম তিনটি স্কুলের মধ্যে রয়েছে । ময়মনসিংহ শহরে আরও তিন/চারটি প্রাইভেট শিক্ষা,প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে । এসব প্রতিষ্ঠানসমূহ সোশাল বিজনেসের ধারণার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই সবগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে ছিলাম আমি ।
 
গত ২০ বছর যাবত আমি জাতীয় পত্রিকায় বিরাজনীতিকরনের বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছি। ' আই হেইট পলিটিক্স' এই নেরেটিভের বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছি। আলো-স্টার প্রযোজিত মতলববাজি নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছি।
আমি আমার পেশার জায়গায় কিংবা নিজ এলাকায় বা সারা দেশে অপরিচিত কোনও ব্যক্তি নই। আমার অনেক সুহৃদ চাচ্ছেন যে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্যে যেন আমি সরাসরি কিছু কন্ট্রিবিউট করি । কারণ রাজনীতিতে ভালো মানুষের অনুপস্থিতি বিরাজনীতিকরনকে উৎসাহিত করছে। তবে এই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই নাই।
 
আমি যদি রাজনীতিতে নামি তা নিশ্চয় কোনও আর্থিক বা সামাজিক মতলবে নামবো না ইনশাআল্লাহ। আমি আমার যোগ্যতার ব্যাপারে যথেষ্ঠ কনফিডেন্ট। কাজেই কাউকে অযাচিত প্রশংসা বা তৈল মর্দনেরও দরকার পড়বে না। কিন্তু যেটি আমি সত্য বলে বিশ্বাস করি, তা বলতে দ্বিধা করি না। জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে যখন কেউ সত্য কথা লিখতে ভয় পেতেন তখন আমি দৈনিক যায় যায় দিনে অকপটে লিখেছি । সেজন্যে আব্দুন নূর তুষাররা পেছনে লেগেছিলেন। তারা অপপ্রচার করতেন, আমি নাকি যায় যায় দিন কে দৈনিক সংগ্রাম বানিয়ে ফেলছি! আমি কোনওদিন কোন ছাত্র রাজনীতি করি নাই। আমার সঙ্গে পড়া সকল বন্ধু বান্ধব এর সাক্ষী। আমাদের সময়ে ঢাকা কলেজের কোনও ছাত্রকে রাজনীতি করতে দেখি নাই। মেরিন একাডেমিতে রাজনীতির তো প্রশ্নই ওঠে না।
 
আলো স্টার যখন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিশেষ করে তারেক রহমানকে ভিলেইন হিসাবে প্রতিষ্ঠার কাজে লেগেছিল এবং এটাকে একটা বুদ্ধিবৃত্তিক ফ্যাশন হিসাবে দাঁড় করিয়ে ফেলে তখন আমি আলো- স্টারের এই ইবলিশি কাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেই। আব্দুল গাফফার চৌধুরী যখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যা লিখতেন তখন যুক্তি ও প্রমাণসহ সেসবের বিরুদ্ধে লিখেছি! কাজেই নির্মম সত্য কথাটি জামায়াত কিংবা তারেক রহমান যার পক্ষেই যাক না কেন, আমি লিখতে পিছুপা হয় নাই। একারণেই কাজী সিরাজের মত লোক যেমন করে আমাকে জামায়াতের ছদ্মবেশী নেতা বানিয়েছেন তেমনি এখন একটা দল আমাকে জিয়া পরিবারের দাস, কামলা এবং আরও যত খারাপ বিশেষণে পারেন বিশেষিত করতে চাচ্ছেন।
 
কাজেই সবার প্রতি অনুরোধ এর মাধ্যমে বিরাজনীতিকরনকে উৎসাহিত করবেন না। আমার প্রকৃত সুহৃদ যারা আছেন এবং আমার মুখে এরকম কথা শুনে যারা আহত হচ্ছেন, তাদের আশ্বস্ত করছি, রাজনীতিতে নামলেই আমি অন্য মানুষ হয়ে পড়বো না। বরং সেখানেও একটা নমুনা স্থাপন করব ইনশাআল্লাহ। তবে আমি আমার আদর্শের শত্রু বা অন্য কোনও স্বার্থের কারণে শত্রুদের আমি কেয়ার করব না। কারণ আল্লাহতায়ালাকেই আমি আমার সর্বোত্তম সাহায্যকারী মনে করি।