Image description

ফাতেমা নূর। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এ নারী চাকরি করেন রাজধানীর কমলাপুরে দেশের প্রধান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে। প্রায় নয় কিলোমিটারের এ পথ গণপরিবহনে পাড়ি দিতে কখনও কখনও তার সময় লাগে দেড় ঘণ্টার বেশি। সিএনজিতে গেলে মাসিক খরচ দাঁড়ায় বেতনের প্রায় সমান। মাঝেমধ্যে সময় সাশ্রয় করতে গিয়ে প্রায়ই তাকে খরচ করতে হয় বাড়তি অর্থ। তবে, মেট্রোরেল চালুর পর কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি।

এখন রিকশায় মতিঝিল গিয়ে সেখান থেকে মেট্রোরেলে চড়ে দ্রুত সময়ে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারেন। সেখান থেকে লেগুনা, রিকশা বা বাসে চড়ে বাকি পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি পৌঁছান।

কর্মজীবী এ নারী বলেন, মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশটা চালু হলে যাত্রাটা আরেকটু সহজ হবে। স্টেশন থেকে বের হয়ে কয়েক কদম হেঁটে মেট্রোতে উঠতে পারব। তখন অন্তত আট ঘণ্টার চাকরিতে ১২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হবে না।

মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লাইন-৬ (এমআরটি লাইন-৬) এর কাজ চলতি বছর শেষ হচ্ছে না। ফলে এ পথে এখনই মেট্রোরেলের সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে অন্তত আরও দেড় বছর

শুধু ফাতেমা নূর নন, রাজধানীর হাজারও কর্মজীবী মানুষ কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তবে, তাদের সেই প্রতীক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে।

 

মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লাইন-৬ (এমআরটি লাইন-৬) এর কাজ চলতি বছর শেষ হচ্ছে না। ফলে এ পথে এখনই মেট্রোরেলের সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে অন্তত আরও দেড় বছর।

dhakapost
মানচিত্রে এমআরটি লাইন ৬ / ছবি- সংগৃহীত

২০১৬ সালের ২৬ জুন মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর উদ্বোধন হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের। তবে, ওই সময় থেকে বারবার বলা হচ্ছিল, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কমলাপুরের অংশ চালু হবে।

কাজ এগোচ্ছে ধীরগতিতে

তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, সম্প্রসারিত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার পথ ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে। তার সময়কালে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পথের অগ্রগতি ছিল ২৫ শতাংশ। কিন্তু প্রায় দেড় বছর পর সেই অগ্রগতি গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। তা-ও ভৌত অবকাঠামোর কাজ।

মতিঝিল-কমলাপুর অংশে দুটি প্যাকেজে কাজ চলছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সিভিল ওয়ার্ক সম্পন্ন হয়েছে ৫০ শতাংশ। কাজটি এখনও চলমান। অন্যদিকে, ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। জটিলতা মূলত ঠিকাদার নিয়োগে। নির্ধারিত দর থেকে উচ্চমূল্যে টেন্ডার দাখিল করেছে জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কীভাবে কাজটি করানো হবে, সেটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আপাতত এ অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে

কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পথের কাজ শেষ হতে আরও দেড় বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ সবকিছু ঠিক থাকলে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের তিন বছর পর চালু হবে মতিঝিল-কমলাপুর অংশের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতিঝিল-কমলাপুর অংশে দুটি প্যাকেজে কাজ চলছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সিভিল ওয়ার্ক সম্পন্ন হয়েছে ৫০ শতাংশ। কাজটি এখনও চলমান। অন্যদিকে, ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। জটিলতা মূলত ঠিকাদার নিয়োগে। নির্ধারিত দর থেকে উচ্চমূল্যে টেন্ডার দাখিল করেছে জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কীভাবে কাজটি করানো হবে, সেটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আপাতত এ অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে।

 

এ বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের চুক্তি হয় জয়েন্ট ভেঞ্চারের সঙ্গে, কিন্তু তারা কাজটি করায় থার্ড পার্টি দিয়ে। যদি সরাসরি ওই থার্ড পার্টির মাধ্যমে কাজটি করানো যেত, তাহলে ব্যয় অনেকটা কমানো যেত। আমাদের সময় এমনিতেই বেশি লেগেছে, এখন ব্যয়ও যদি বাড়ে তাহলে দুই দিকেই আপস করতে হবে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সিভিল কাজের অগ্রগতি

মেট্রোরেলের গত মার্চ মাসের অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমআরটি লাইন-৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। মার্চ মাস পর্যন্ত ১৭৭টি পাইলের মধ্যে সবগুলো, ৬১টি পাইলক্যাপের মধ্যে ৫৯টি, ৩৯টি পিয়ারের মধ্যে ৩৭টি এবং ৩০টি স্টেশন কলামের মধ্যে সবগুলোর নির্মাণ শেষ হয়েছে।

dhakapost
মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লাইন-৬ এর কাজ চলতি বছর শেষ হচ্ছে না / ছবি- সংগৃহীত

এছাড়া, উত্তরা কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৯৮টি প্রিকাস্ট সেগমেন্টের মধ্যে সবগুলোর কাস্টিং শেষ হয়েছে। ২৭টি স্প্যানের মধ্যে ৮টির উত্তোলন শেষ হয়েছে। স্টেশনের ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের কনকোর্স ছাদের মধ্যে ১৮০ মিটার এবং ১৮০ মিটার ট্র্যাক স্ল্যাবের মধ্যে ৯০ মিটারের ঢালাই শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে ৮২৪টি প্রিকাস্ট প্যারাপেট ওয়ালের মধ্যে সবগুলো তৈরি শেষ হয়েছে।

 

বর্ধিত পথে খরচ হচ্ছে যত

এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা থেকে মতিঝিলের দূরত্ব ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। মতিঝিল থেকে বর্ধিত কমলাপুর পর্যন্ত দূরত্ব ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এ লাইনের মোট দূরত্ব ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। এ পথে কমলাপুর ছাড়া মোট ১৬টি স্টেশন সচল আছে। কমলাপুর যুক্ত হলে মেট্রোতে মোট স্টেশন হবে ১৭টি।

এমআরটি লাইন-৬ এর সংশোধিত প্রাক্কলিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে একটি স্টেশনসহ বর্ধিত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার পথ নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সময় বাড়ায় টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে

এমআরটি লাইন-৬ এর সংশোধিত প্রাক্কলিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে একটি স্টেশনসহ বর্ধিত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার পথ নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সময় বাড়ায় টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজের ঠিকাদার নিয়োগে জটিলতা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলেকট্রোমেকানিক্যাল (সিপি-০৭) কাজের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ, লিফট-এস্কেলেটর, গেইট সিস্টেম, মনিটরিং, সিসিটিভি, সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন ইত্যাদি। এ কাজের জন্য নির্ধারিত বাজেট ছিল ২৭৪ কোটি টাকা। তবে, দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো এর দ্বিগুণ অর্থ দাবি করেছে।

 

প্রকল্পের দায়িত্বশীল সূত্র ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছে, ভারতের লারসেন অ্যান্ড টুব্রো ও জাপানের মারুবেনি কর্পোরেশন যৌথভাবে আগের অংশের কাজ করেছে। তারা এবারও আগ্রহ দেখিয়ে দাবি করেছে ৫৯০ কোটি টাকা।

আরও জানা গেছে, এই সিপি-০৭ প্যাকেজ পুরো মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মূল কেন্দ্র। ফলে এটি চূড়ান্ত না হওয়ায় পুরো প্রকল্প পিছিয়ে যাচ্ছে।

dhakapost
যানজট না থাকা এবং সময় কম লাগায় দিনদিন চাপ বাড়ছে মেট্রোতে / ছবি- সংগৃহীত 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেন্ডারে এমন কিছু শর্ত থাকে যেখানে একক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে না। তাই জয়েন্ট ভেঞ্চারে যেতে হয়। তবে, আমাদের নিজের স্বার্থ আগে বুঝতে হবে। যদি সরাসরি ২৫০ কোটি টাকায় কাজটা সম্ভব হয়, তাহলে অযথা ৫০০ কোটি টাকায় করানোর যৌক্তিকতা কোথায়?

ডলার ও বাজেট নিয়ে সংশয়

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আসলে এখানে কোনো জটিলতা নেই। সিভিল কাজে তো না-ই। ইলেকট্রোমেকানিক্যাল (সিপি-৭) কাজ এখনও আমরা ফাইনাল করতে পারিনি। এটা কাজের কোনো জটিলতা নয়, আবার প্রশাসনিক কোনো জটিলতাও নয়। এটা বাজেট সংক্রান্ত জটিলতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমরা ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) করি তখন ডলার ছিল ৮০ টাকার নিচে। এখন ডলার তো ১০০ টাকার ওপরে। আগে রেললাইন কিনেছি ১০০ কিলোমিটার। এখন কিনতে হচ্ছে এক কিলোমিটার।’

কাজ কবে শেষ হবে— জানতে চাইলে মো. জাকারিয়া বলেন, ‘যদি এ জুনের মধ্যে চুক্তি করা সম্ভব হয় তাহলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। না হলে আরও দেরি হতে পারে।’

 

জাইকা আমাদের প্রভু না

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কাজটি জয়েন্ট ভেঞ্চারকে দিয়ে না করিয়ে যদি সরাসরি করানো যায় তাহলে ব্যয় অনেকটা হ্রাস পাবে। আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয় জয়েন্ট ভেঞ্চারের। কিন্তু তারা কাজটি করায় থার্ড পার্টি দিয়ে। তাহলে আমরা কেন সরাসরি থার্ড পার্টিতে যাচ্ছি না?’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এমনিতেই সময় বেশি লাগছে। যেহেতু আমাদের কালক্ষেপণ হয়েই গেছে, এজন্য আমাদের বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত কীভাবে ব্যয় হ্রাস করা যায়। আমি তো দুই জায়গায় কম্প্রোমাইজ করতে পারি না। ইতোমধ্যে সময়ের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে ফেলেছি। এখন আবার ব্যয়ের সঙ্গে আপস করব! তারা আগে ১৬টি স্টেশন করেছে। এখন একটি স্টেশনের জন্য দ্বিগুণ টাকা লাগবে? ডিএমটিসিএলের এ সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না।’

dhakapost
মেট্রোর ভেতরের চিত্র। মতিঝিল থেকেই যাত্রীতে ঠাসা, পরের স্টেশনগুলোতে যাত্রী ওঠা নিয়ে সংশয় / ছবি- সংগৃহীত

জয়েন্ট ভেঞ্চারের ওপর ভরসা রাখছি কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন টেন্ডার কল করা হয়, তখন টেন্ডারে এমন কিছু শর্ত দেওয়া থাকে, যেখানে সরাসরি একটা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারে না। তখন জয়েন্ট ভেঞ্চারে যেতে হয়। আমাদের ভালোটা আমাদের বুঝতে হবে। যদি আমরা সরাসরি ২৫০ কোটি টাকা দিয়ে কাজটা করতে পারি, তাহলে কেন ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে করাব?’

থার্ড পার্টি দিয়ে কাজ করালে জাইকার সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে তো মেট্রোরেলের কমলাপুর যাওয়ার কথা ছিল না। তাদের ১৬টি স্টেশন করার কথা ছিল। তারা সেটা করেছে। এখন এখানে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটা একটা নতুন কাজ। ডিএমটিসিএল চাইলে থার্ড পার্টি দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে পারে। এতে চুক্তি ভঙ্গ হবে না।’

জাইকা আমাদের প্রভু না— মন্তব্য করে এ যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘তারা আমাদের ঋণ দিচ্ছে। ঋণের বিপরীতে তারা ইন্টারেস্ট নেবে। এ বিষয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন করছে। শুধুমাত্র শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে। নগরবাসীর আশা— যানজট আর সময়ের অপচয় রোধে দ্রুততম সময়ে চালু হবে মেট্রোরেলের কমলাপুর অংশ। তবে, সেই স্বস্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও দেড় বছর।