
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, 'বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনের পথ'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারি চাকরিজীবীদের দাবি-দাওয়া আদায়ে দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত বছরের ৫ই অগাস্টে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে অনেক সরকারি কর্মচারী নানা কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে নামেন। এর জবাবে সরকার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি নতুন অধ্যাদেশের খসড়া করেছে, যাতে তিনজনের বেশি কর্মচারী একসঙ্গে কোনো কর্মসূচি পালন করতে না পারেন।
এই অধ্যাদেশ অনুমোদিত হলে আন্দোলন করা আর সম্ভব হবে না। অনেক কর্মকর্তাই এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ হলে সরকারি কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
বিশেষ করে এখন যারা সরকারের শীর্ষ পদে রয়েছেন, তারা অধিকাংশই চুক্তিভিত্তিক যাদের আর কোনো ব্যক্তিগত দাবিদাওয়া নেই।
সরকার মনে করছে, গত অগাস্টে কর্মচারীদের কিছু অশোভন আচরণের পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া যুক্তিযুক্ত।
অন্যদিকে, সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছু নিয়ম-কানুন জরুরি।
তবে অনেকে মনে করছেন, এই আইন কার্যকর হলে সরকারি কর্মচারীদের মত প্রকাশ ও আন্দোলনের অধিকার সীমিত হয়ে যাবে।
এখন সব কিছু নির্ভর করছে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'সরকার বলছে ডিসেম্বর–জুনের মধ্যে নির্বাচন, 'অসন্তুষ্ট' বিএনপি'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ও রোডম্যাপ জানতে চেয়েছিল।
কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টার আলোচনায় স্পষ্ট কোনো দিনক্ষণ না পাওয়ায় দলটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে হতে পারে।
কিন্তু বিএনপি বলছে, নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মনে করে, বিলম্বিত নির্বাচন দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়াবে।
তারা বলছে, সংস্কার প্রক্রিয়া নির্বাচনের আগে নয়, বরং নির্বাচিত সরকারই তা বাস্তবায়ন করবে। তবে এখনই আন্দোলনে নামবে না তারা। ঘরোয়া আলোচনা ও মতবিনিময় সভা চালিয়ে যাবে এবং সরকারের ওপর রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য চাপ বজায় রাখবে।
ঈদ, ঝড় এবং বর্ষা মৌসুম সামনে থাকায় মাঠের কর্মসূচি এখন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সরকার বলছে, নির্বাচন জুনের পরে যাবে না। কিন্তু নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে সংস্কার কতটা সম্পন্ন হয়েছে তার ওপর।
এই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট। বিএনপি বলছে, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ হলে তারা নির্বাচনে যেতে রাজি।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, 'Polls timing tops parties' talks with US officials' 'মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে দলগুলোর আলোচনার শীর্ষে নির্বাচনের সময়সূচি'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও নতুন গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পৃথকভাবে মতবিনিময় করেছে। এই আলোচনার মূল বিষয় ছিল নির্বাচন কবে হবে।
বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের বলেছে, তারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়, কারণ সংস্কারের কাজ এক মাসের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব।
দলের নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন আরও আগে হলেও সম্ভব, কারণ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত আছে।
অন্যদিকে, জামায়াত বলেছে তারা আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায়। তাদের মতে, জুনের পরে বর্ষা, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বলেছে, তারা নির্বাচন চায় শুধু তখনই, যখন মৌলিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন হবে।
তারা অভিযোগ করেছে, স্থানীয় প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির পক্ষে কাজ করছে এবং এনসিপির নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন যা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল দলগুলোর অর্থনীতি, রাজনীতি, মানবাধিকার, সংখ্যালঘু অধিকার এবং নারীদের অবস্থান নিয়েও জানতে চায়।
তারা সবাইকে গণতান্ত্রিক মানদণ্ড বজায় রাখার আহ্বান জানায়। আলোচনার মাধ্যমে দলগুলো নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে।

সংবাদের প্রথম পাতার খবর, 'ডিসেম্বর লক্ষ্যে জুলাইয়ে ভোটের কর্মপরিকল্পনা'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ডিসেম্বর মাসকে লক্ষ্য ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ লক্ষ্যে জুলাই মাসে ভোটের একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা (ওয়ার্ক প্ল্যান) প্রকাশ করতে চায় ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, এরইমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন ও নীতিমালা সংস্কার, আসন বিন্যাস ও দল নিবন্ধনের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের জন্য জুন-জুলাইয়ের মধ্যে কর্মপরিকল্পনার প্রিন্টেড কপি পাওয়া যাবে।
এরপর অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে নতুন ও পুরানো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে।
এখন পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে, আর তাদের আবেদনের শেষ সময় ২০শে এপ্রিল।
সংলাপের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দিতে চায় ইসি, যাতে তারা আলোচনায় অংশ নিতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নে কমিশনার বলেন, রমজানে পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভালো ছিল এবং ভবিষ্যতেও উন্নতির আশা করা যাচ্ছে।
তাই ডিসেম্বরেই নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা কোনো বড় বাধা দেখছে না।
নির্বাচন কমিশন মনে করছে, আগামী ছয় থেকে আট মাসে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে, যা নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।

কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, 'ব্যবসা-বিনিয়োগে সংকট বাড়ছে'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বর্তমানে নানা সংকটে পড়েছে।
উচ্চ ঋণের সুদ, জ্বালানির দাম, টাকার অবমূল্যায়ন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায়ীরা চাপের মুখে।
বিশেষ করে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানও ঝুঁকিতে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতীতে গ্যাসের দাম বহু গুণ বেড়ে গিয়েছিল, এবারও এই মূল্যবৃদ্ধি তাদের জন্য বাড়তি বোঝা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাসের দাম বাড়লেও সরবরাহ বাড়ছে না, যা শিল্প খাতের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতিও ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আমদানি কমে যাওয়ায় শিল্পের কাঁচামাল সংকটেও পড়েছে। বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উৎপাদন ব্যয় কমানোর দাবি জানাচ্ছেন।
বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) মনে করে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক এবং পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও একই আহ্বান জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ খাত এক জটিল পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, 'EZ, EPZ industries to get priority as gas connections resume amid supply crunch' 'সরবরাহ সংকটের মধ্যে গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু হওয়ার ক্ষেত্রে ইজেড, ইপিজেড শিল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে গ্যাস সংকট চলমান থাকলেও দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর আবার কিছু কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে সবাইকে সংযোগ দেওয়া হবে না। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে, বিশেষ করে ইকোনমিক জোন (ইজেড ) ও এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন ( ইপিজেড)-এ অবস্থিত কারখানাগুলোকে।
এ ক্ষেত্রে প্রথমে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হবে এবং নতুন সংযোগ বা লোড বাড়ানোর ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকার চায় ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে গ্যাসের সিস্টেম লস অর্ধেকে নামিয়ে আনতে। এজন্য পেট্রোবাংলা, গ্যাস কোম্পানি ও পরিবহন সংস্থাগুলোকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে যেতে পারে, কারণ শিল্প খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় সবাইকে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না।
বর্তমানে প্রতিদিন চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের গ্যাস অপচয় হয়। গ্যাস ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বিভিন্ন কোম্পানিকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, যেমন তিতাসকে তাদের ক্ষতি ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
সামনে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, '২০২৬ সালে রফতানি ছাড়াতে পারে ৫০ বিলিয়ন ডলার, আছে চ্যালেঞ্জও'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।
তবে এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্বলতা এবং বাজারে চাহিদা হ্রাস এই লক্ষ্যে বড় বাধা হতে পারে।
মার্কিন বাজার বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় গন্তব্য, যেখানে নতুন শুল্কের কারণে রফতানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এর ফলে অনেক আমেরিকান ক্রেতা অর্ডার বাতিল বা স্থগিত করেছেন।
এডিবি'র রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, ২০২০ সালে পোশাক রফতানি ছিল ২৭ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৩৬ বিলিয়ন, এবং ২০২২ সালে ৪৬ বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রফতানি ৩৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ না করে এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম না বাড়ে, তাহলে ৫০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
তবে সরকারকে আরও কার্যকর অর্থনৈতিক কূটনীতি ও নীতি সংস্কার নিতে হবে। এ ছাড়া রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনাও জরুরি।

সমকালের প্রথম পাতার খবর, 'অবরোধ যানজট বৃষ্টিতে ঢাকায় দিনভর দুর্ভোগ'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গতকাল বুধবার ঢাকায় সারা দিনজুড়ে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন অবরোধ, যানজট ও বৃষ্টির কারণে।
সকাল ১০টা থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেন ছয় দফা দাবিতে।
সাতরাস্তা, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।
কেউ কেউ হেঁটে গন্তব্যে যান, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ছিলেন বেশি বিপাকে। জরুরি সেবার গাড়িও বাধাপ্রাপ্ত হয়।
মধ্য বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। রাস্তায় পানি জমে যান চলাচলে সমস্যা হয়।
অফিস ছুটির সময় অনেকে কর্মস্থলে আটকে পড়েন, কেউ কাকভেজা হয়ে বাসায় ফেরেন। অনেক এলাকায় রিকশা ও গাড়ির চাকা একদম বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, পুলিশ দিনভর চেষ্টা করেও যানজট সামাল দিতে পারেনি।
আন্দোলনকারীরা অনেক জায়গায় ফ্লাইওভার ও প্রধান সড়কে গাড়ি আটকে রাখে। সন্ধ্যা ৭টার পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলেও যানজট পুরোপুরি কমেনি।
মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের কষ্ট দেওয়া অনুচিত। আন্দোলন যৌক্তিক হলেও এমন পদ্ধতিতে দুর্ভোগ তৈরি হওয়ায় অনেকে বিরক্ত ও হতাশ।

দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, 'পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটেই ফেসবুকে প্রশ্ন-উত্তর'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগের রাতে প্রশ্নফাঁস না হলেও এবার ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ভিন্নভাবে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে।
পরীক্ষা শুরুর ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে, আর ৩০ মিনিটের মধ্যেই সমাধানও দেওয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে এমন ঘটনার অভিযোগ ওঠে, যেখানে একটি ফেসবুক গ্রুপে ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়।
প্রশাসনের তৎপরতায় এটি মুছে ফেলা হয়, তবে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রশাসনকে বিড়ম্বনায় ফেলে।
এছাড়া, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা ফেসবুক লাইভে প্রশ্নের সমাধান দিচ্ছেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, কেউ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, টাঙ্গাইলে খোলামেলা বই দেখে পরীক্ষা দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যা শিক্ষাব্যবস্থার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
প্রশাসন ওই শিক্ষকদের দায়িত্ব থেকে বিরত রেখেছে এবং তদন্ত চলছে।
নরসিংদী ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশ্ন পরীক্ষার শুরুতে ফাঁস হলেও সেটাও বড় ধরনের সমস্যা। তাই পরীক্ষা চলাকালীন সময় আরও সতর্কতা প্রয়োজন।
কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকলেও অনেক শিক্ষক অনলাইনে সক্রিয় রয়েছেন, যা প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।