Image description

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আকতার হোসেন বলেছেন, ‘সরকারি ফার্মেসি স্থাপন একটি সময়োপযোগী এবং সাহসী পদক্ষেপ। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশে গুড ফার্মেসি প্র্যাকটিস (GPP) ও গুড ডিসট্রিবিউশন প্রাকটিস (GDP) নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ফলে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা জানান। 

পরিচালক বলেন, ‘প্রত্যেকটি ফার্মেসিতে একজন প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট থাকবেন যিনি স্টোরে ঔষধের উপস্থিতি ও মান পর্যবেক্ষণ করবেন। বিশেষ করে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় ঔষধ যদি এই ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যায় তাহলে রোগীরা সহজে ফ্রেশ ও মানসম্মত পণ্য পাবে। সেই সঙ্গে তারা তুলনামূলক কম খরচে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে।’

ডা. হোসেন আরও জানান, ‘এই প্রক্রিয়ায় ম্যানুফ্যাকচারিং থেকে শুরু করে ফার্মেসিতে প্রোডাক্ট পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ হবে সুষ্ঠু ও নিয়ন্ত্রিত। ফলে স্মাগলড বা ভেজাল পণ্য বাজারে প্রবেশের সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’

মনিটরিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারি ফার্মেসিগুলো হবে সাধারণ ফার্মেসির তুলনায় বড় এবং আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন। আমরা আশা করি, সরকার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে মনিটরিংয়ের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সম্পৃক্ত করবে। তাহলে আমরা নির্ধারণ করতে পারব কোন ধরনের ঔষধ কী ধরনের তাপমাত্রায় ও কী পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে—যা ঔষধের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়ক হবে।’সরকারি ফার্মেসিতে এসব ঔষধ খুবই কম দামে অর্থাৎ টোকেন মূল্যে বিক্রি হবে। ফলে জনগণের পক্ষে সহজে তা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘স্মাগলারদের যেন তেন উপায়ে ভেজাল পণ্য বাজারে আনার সুযোগ রোধে সরকারি ফার্মেসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে এটি বৃহৎ পরিসরে সম্ভাব্য অব্যবস্থাপনাও রোধ করবে।’

প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের জন্য কম দামে ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো সারা দেশে  সরকারি ফার্মেসি চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে সারাদেশে হইচই পরে যায়। এখানে থেকে সাধারণত ২৫০ ধরনের ওষুধ কেনা যাবে। বাজারমূল্যের তুলনায় এই ওষধ মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দামে বিক্রি হবে। এই ফার্মেসিগুলোর সব ওষুধের গুণগত মান হবে সর্বোচ্চ। প্রাথমিকভাবে, দেশের সব সরকারি হাসপাতালের প্রাঙ্গণে এসব ফার্মেসি স্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।