
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সংস্কারের জন্য নির্ধারিত সড়কে কাজ না করে ভুলে ভালো সড়ক খুঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা সড়কের পাশের পিচ ঢালাই তুলে ফেলার পর ঠিকাদার ও তাঁর লোকজন বুঝতে পারেন, তাঁরা ভুল সড়কে কাজ করছেন।
উপজেলার চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রামের বাবুল মার্কেট থেকে মোল্লা মার্কেট সংযোগ সড়ক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এতে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বেসরকারি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকারা পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে গত রোববার সকালে ঠিকাদারের লোকজন এসে পাকা সড়কের পিচ উপড়ে ফেলা শুরু করেন। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ খোঁড়াখুঁড়ির পর লোকজন চলে যেতে লাগলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তাঁরা জানান, ভুলক্রমে তাঁরা অন্য রাস্তার পরিবর্তে এ রাস্তায় কাজ শুরু করেছিলেন। এটা শুনে সাধারণ মানুষ জড়ো হতে থাকলে তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন কাজ করা লোকজন।
স্থানীয় মোল্লা মার্কেট যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক বলেন, ‘এলজিইডি অফিসের লোকজন কতটা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজের তদারককারী কর্মকর্তা উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী শরীফ মোহাম্মদ নুর ইসলাম ভুলে এ কাজ হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘মূলত চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেস গ্রামের কুকিজ মার্কেট-ছিদ্দিক মার্কেট সড়কে কাজের জন্য টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার ভুলে অন্য রাস্তায় কাজ শুরু করেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা কাজ বন্ধ রাখেন এবং ঠিকাদার ভয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যান। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

এদিকে সড়কটি চলাচল অনুপযোগী করার কারণে ক্ষুব্ধ পথচারী ও এলাকাবাসী। এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন সোমবার বিকেলে সড়কটি পরিদর্শন করেন। এরপর ঠিকাদার ও এলজিইডিকে সড়কটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।’