Image description

বিগত ১৬ বছর দেশটাকে চুষে খেয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা আর তার দলের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে। বাংলাদেশে দৃশ্যমান কোন বিনিয়োগ এসময় চোখে পড়েনি যা গর্ব করে বলার মত। তবে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরো চিত্রই যেনো বদলে গেছে। বিশ্বের প্রভাবশালী জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ড বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে নিয়ে আসছে কারি কারি অর্থ। ড. ইউনূস ৮ মাসেই যা করলো হাসিনা কেন ১৬ বছরেও তা করতে পারেনি? স্বৈরাচার হাসিনার অসহযোগীতায় বাংলাদেশ থেকে ২২ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সরিয়ে ভিয়েতনামে নিয়ে যায় বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড স্যামসাং, এমন বিস্ফোরক তথ্যই সম্প্রতি সামনে এসেছে।

 

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চলছে চার দিনব্যাপী বিজনেস সামিট-২০২৫। সেখানেই বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড বিডা এর নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, ২০১২ সালে স্যামসাং বাংলাদেশের একটি প্রজেক্টে ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে এসেছিল। কিন্তু তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অসহযোগিতার কারণে তারা সেই বিনিয়োগটি ভিয়েতনামে স্থানান্তর করে। তিনি বিডার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কোরিয়ান ইপিজেড-এর চেয়ারম্যান তার সঙ্গে দেখা করতে এসে স্যামসাংয়ের বিনিয়োগ ফেরত যাওয়ার ঘটনাটি বলেছিলেন বলে জানান তিনি।

 

জমি সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের জন্য স্যামসাং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দারস্থ হয়। কিন্তু হাসিনা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জমির কাগজপত্র ঠিক করে না দেওয়ায় বিনিয়োগ ভিয়েতনামে স্থানান্তর করে বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে আরও কতশত বিনিয়োগ বাংলাদেশে হওয়া থেকে বানচাল করেছে তা হাসিনাই জানে। এদিকে স্যামসাংয়ের সাথে করা হাসিনার এমন কর্মকান্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বেশ চটেছেন নেটিজেনরা।

 

নওমি জামান নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনার আরও কত কুকীর্তি যে দেখতে হবে। শেষ পর্যন্ত স্যামসাংয়ের সাথেও এমন করেছেন? স্যামসাংয়ের কারখানা বাংলাদেশে হলে আজ কত মানুষের কর্মসংস্থানই না হতো।’

 

হাসিনার এমন উদ্ভট কর্মকান্ডে অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্যামসাংয়ের এত বড় বিনিয়োগ হাতছাড়া হয়েছে শুধুমাত্র ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বার্থবাদী কাজের জন্য। আজ বাংলাদেশে স্যামসাংয়ের মত বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডর কারখানা থাকলে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্য অনেক বিদেশী ব্র্যান্ডই বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতো আর এতে বেলাশেষে ফায়দাটা হতো বাংলাদেশ সরকার এরই, এমন মন্তব্যও করেন নেটিজেনরা।