Image description

জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া মেয়েরা পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক পুরস্কার। শনিবার (২৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের এই পুরস্কার দেওয়ার খবর জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বিগত সরকারের সহিংস দমননীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন মেয়েরা।  

তারা অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন, এমনকি হুমকি ও সহিংসতার মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনী ও পুরুষ আন্দোলনকারীদের মাঝে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। যখন পুরুষ সহযোদ্ধারা গ্রেপ্তার হন, তখন এই মেয়েরা নতুন কৌশল অবলম্বন করে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।  

এমনকি ইন্টারনেট বন্ধ থাকার সময়েও তারা সেন্সরশিপের বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হয় । অনিশ্চয়তার মাঝেও তাদের এই সাহস ও নিঃস্বার্থ ভূমিকা ছিল প্রকৃত বীরত্বের প্রতিচ্ছবি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প স্টেট ডিপার্টমেন্টে বার্ষিক ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ (আইডব্লিউওসি) অ্যাওয়ার্ডস প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

এটি আইডব্লিউওসি অ্যাওয়ার্ডের ১৯তম বর্ষ। এই পুরস্কারের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের এমন নারী নেতাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যারা  প্রায়শই বড় ধরনের ঝুঁকি ও আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে অসাধারণ সাহস, দৃঢ়তা এবং নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন।  

২০২৫ সালের আইডব্লিউওসি পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন, বুরকিনা ফাসোর হেনরিয়েট দা, ইসরায়েলের আমিত সুসানা, পাপুয়া নিউ গিনির মেজর ভেলেনা ইগা, ফিলিপাইনের অ্যাঞ্জেলিক সোনকো, রোমানিয়ার জর্জিয়ানা পাসকু, দক্ষিণ সুদানের জাবিব মুসা লোরো বাখিত, শ্রীলঙ্কার নামিনি উইজেদাসা ও ইয়েমেনের আমাত আল-সালাম আল-হাজ।  

আর আন্তর্জাতিক নারী সাহসিকতা পুরস্কারের অংশ হিসেবে ‘ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীরা।