Image description

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত হামলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তাদের অবস্থা আরো শোচনীয় হয়েছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটা ওঠে এসেছে। খবর বিবিসির।শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ও শারীরিক আক্রমণ ও সম্পত্তি ভাঙচুরের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং তাদের মন্দিরের ওপর হামলা বেড়েছে বলে তাদের সংগঠনগুলো দাবি করেছে।

 

যদিও মার্কিন ওই প্রতিবেদনে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের জন্য ‘বিশেষভাবে উদ্বেগের’ অথবা ‘নজরদারিতে রাখা’ দেশগুলোর যে তালিকা করা হয়েছে, যেসব দেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি, ভিসা কড়াকড়ি বা সহায়তা বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, সেই তালিকায় বাংলাদেশ পড়েনি।মার্কিন প্রতিবেদনে ভারত, পাকিস্তান বা মিয়ানমারের মতো উদ্বেগের মূল তালিকায় থাকা দেশগুলোয় সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি, ভিসা কড়াকড়ি আরোপ, সহায়তা বন্ধের মতো জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।তবে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা মার্কিন সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, ইউএসসিআইআরএফ-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি নিয়ে যে তথ্য দেয়া হয়েছে, তা একেবারেই সত্য নয়।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, এর পক্ষে শক্ত কোনও প্রমাণ নেই।