Image description
 

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মসজিদের এক ইমামের ওপর হামলা এবং দাড়ি টেনে ছিঁড়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এর বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।

আজ দুপুরে বোয়ালমারীর দাদপুর ইউনিয়নের নাগদী গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের কয়েক’শ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

জানা যায়, দাদপুর ইউনিয়নের নাগদী গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ওই ইমামের নাম হাফেজ মো. ওলিয়ার রহমান। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তার কয়েক বিঘা জমি ১৫-১৬ বছর ধরে জোর করে ভোগ করে আসছিলেন দাদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান এবং তার ভাই ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল মাতুব্বর ও বাকেয়ার মাতুব্বরসহ তাদের সহযোগীরা।

সম্প্রতি ওই জমির মালিকানা দাবি করায় আমিন এনে জমি মাপা শেষে দেখা যায়, প্রকৃত জমির মালিক হাফেজ ওলিয়ার রহমান। এ সময় দখলদারদের জমি ছেড়ে দিতে বললে সুগন্ধি মাঠের মধ্যে ওলিয়ার রহমানের ওপর হামলা করা হয়। তারা ইমামের মুখের দাড়ি ধরে টানা-হেঁচড়া ও বেদম প্রহার করে। এ সময় জিয়ার, বাকিয়ার ও বিল্লাল মাতুব্বর তার মুখের দাড়ি ও শরীরের পোশাক টেনে ছিঁড়ে ফেলে। তাদের বেধড়ক মারধরে রোজাদার ওই ইমাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

এ সময় স্থানীয়রা ইমামকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়ি আনা হয়। এখনো তিনি ঠিকমতো চলাফেরা ও দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারছেন না।

এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার তিন মসজিদের মুসল্লিরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

ভুক্তভোগী ইমাম ওলিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার বাবার অনেক জমি-জমা জিয়া মেম্বার ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। সম্প্রতি আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় কিছু জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এই জমি মাপ করে ফেরার পথে ক্ষিপ্ত জিয়া মেম্বার ও তার বাহিনী আমার ওপর হামলা চালায়। নির্মমভাবে তারা আমাকে মারধর করে। থানায় দরখাস্ত দিয়েছি। আমি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’

আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার পারিবারিক। ভুল বুঝা-বুঝি করে নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।’

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আবেদনটি এখনো আমার টেবিলে আসেনি। কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’