
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ধামরাই থানার সাবেক ওসিসহ ৩৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় মামলা করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও হামলার ঘটনায় শুক্রবার ধামরাই থানায় এ মামলা করেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শরিফুল ইসলাম সুজন (২৮) নামে এক ব্যক্তি। তিনি সাভারের আশুলিয়া থানার খেজুরটেক এলাকার আব্দুর রশিদ প্রামাণিকের ছেলে।
ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ধামরাই থানার সাবেক ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। সূত্র জানায়, সাবেক ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ বর্তমানে গাইবান্ধা পুলিশ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত আছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ৫ আগস্ট ধামরাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে শান্তি পূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তাদের ওপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা অতর্কিত হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেকে আহত হন। মামলার বাদী শরিফুল ইসলাম সুজনের বাম হাতের কবজিতে গুলি লেগে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হন।
ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ধামরাই থানায় অন্তত চারটি মামলা করা হয়েছে। সদ্য দায়ের হওয়া এ মামলায় সঠিক তদন্তসাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।