
আসন্ন চীন সফরে দেশটির বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নিয়ে আসাই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘এলডিসি উত্তরণ: কৃষিখাতে প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
রপ্তানি বহুমুখীকরণ না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ‘এই সরকার চাচ্ছে এখান থেকে বের হয়ে আসতে। পোশাকের বাইরে অন্য পণ্য রপ্তানির প্রসার ঘটাতে। প্রফেসর ইউনূস ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন)-এর কাছে বলেছে, তোমরা এখানে হালাল ফ্যাক্টরিগুলো কর। হালালের ম্যানুফেকচারিং হাব কর। তিনি চীন যাচ্ছেন, পুরো ফোকাসটি থাকবে চায়নিজ ইনভেস্টর, যারা গ্লোবালি ডমিনেট করছেন; তাদের বাংলাদেশে আনা।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটি দেশের প্রধান বা রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে যতটা বৈঠক করছেন, তারও বেশি বৈঠক করছেন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। সবার কাছে একই মেসেজ। আর তা হচ্ছে বাংলাদেশ এখন রেডি ফর বিজনেস। আপনারা আসেন। আপনারা এখানে ফ্যাক্টরি স্থাপন করুন।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস প্রচুর জব দিতে চান। বাংলাদেশকে ম্যানুফেকচারিং হাব বানাতে চান। ম্যানুফেকচারিং হাব বানাতে গিয়ে যে ধরনের বাধা রয়েছে সেটি কীভাবে দূর করা যায় সেই কাজগুলো চলছে। কোথায় কোথায় বাধা আছে, কি কি করলে অর্থনীতির আরও উন্নতি ঘটবে সেই কাজগুলো চলছে। তবে আমরা জানি না কাজগুলো আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার করে যেতে পারবে কি না।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়ে যাবে সেখান থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি টেক অফে যেতে পারবে। বাংলাদেশেকে অন্য উচ্চতায় নিতে হলে যে ধরনের ডাইভারসিফিকেশন করা দরকার বাংলাদেশকে যেভাবে ম্যানুফেকচারিং হাব করা দরকার, সেভাবেই এখন কাজ চলছে।’
ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালা, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।