
Monowar Patwary ( মনোয়ার পাটোয়ারী)
তাসনীম খলীল এবং জুলকারনাইন সায়ের গ্রাউন্ড ব্রেকিং রিপোর্ট ছিলো আয়নাঘর নিয়ে। সেটা বেছে নিজেদের অথরিটি সৃষ্টি করেছে। আয়নাঘর প্রজেক্ট আসলে ১/১১ পরবর্তী ওয়ার অন টেররের আউটকাম। আয়নাঘর আদতে বাংলাদেশের গুয়ান্তানামো বের আদলে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কাস্টোডি। এসবের ফাইনান্স, ট্রেনিং, অস্ত্রও আমেরিকাই লিগালি ঘোষণা দিয়েই দিয়েছে গ্লোবাল এজেন্ডার অংশ হিসেবে। আমেরিকা বুশের ফরেইন পলিসি পরিপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে পুরান এজেন্ডা থেকে সরে গেলেও হাসিনা ওয়ার অন টেররকে নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কাজেই ব্যাবহার করে আসছিলো।
ওবামার আমেরিকা ওয়ার অন টেরর থেকে অফিসিয়ালি ঘোষণা দিয়ে সরে আসে ওয়ার অন টেরর থেকে ২০১০ সালে মে মাসে। কিন্তু হাসিনা তার এক্সট্রা জুডিশিয়াল এজেন্ডা অব্যাহত রাখে। এটা আমেরিকার জন্যই বার্ডেন হয়ে গেছিলো ফলাফল- এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিঙয়ের দায়ে র্যাবের উপর স্যাংশন। এটা সেই র্যাব যা বাধ্যতামূলকভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিলো আমেরিকার "নির্দেশে"।
আমেরিকা না চাইলে রেন্ডিশন কিংবা আয়নাঘর কোনটারই টিকে থাকার সুযোগ নাই। আর্মিই আয়নাঘর প্রজেক্ট পরিত্যাক্ত করে। এই ক্ষেত্রে দেখেন যারা আটক ছিলো তারা অনেকটা হাসিনার পার্সোনাল ক্যাপাসিটিতেই ক্যাপটিভ ছিলো।
অফিসিয়ালি ওয়ার অন টেরর মানেই কি আয়নাঘর কি শেষ ?
উত্তর- হ্যাঁ।
কিন্তু হাসিনার পারসোনাল পলিসিতে তার কিছু অনুগত ব্যাক্তিকে দিয়ে তার কাজ চালিয়ে গেছে। ফলে আয়নাঘর আবিস্কার তাসনীম কিংবা শায়েরের কোন বড় চেঞ্জ আনেনি। মানুষ জেনেছে, হাহুতাশ করেছে। এর বাইরে হাসিনা এগুলোকে পাত্তাই দেয়নি।
দেখেন, ৫ আগস্টের পরই তারা মুক্তি পেয়েছেন। তো তাসনীম-শায়েরের খুব বড় এচিভমেন্ট কি? আউটকাম কই?
হ্যাঁ, এটা সাহসী কাজ অবশ্যই কিন্তু সরাসরি কোনো গেইন নাই। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টাকে শ্রদ্ধা জানাই।
তবে সেই ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টকে ফুলিয়ে ফাফিয়ে এতো মহান করার মাধ্যমে তাসনীম-শায়ের রাষ্ট্রের উপর খবরদারীর লিগালিটি চাইলে তো সমস্যা।
আপনি অবদান রাখছেন কিন্তু তার মানে তো পারসোনাল স্টেক চাইতে পারেন না। আবার সেই স্টেক যদি ব্যাক্তি বিশেষকে রিলিভ দিতে তাহলে তো ভাই সবাই এইভাবে অথরিটি চাওয়া শুরু করবে।
আর পারসোনাল গেইনের জন্য এই নীচু হওয়া কি আসলে উচিত ?
স্কুল ছুটির পড়ে ঘণ্টি বাজায় হেডমাস্টার হয়ে গেলে তো ঝামেলা দাদাভাই।