Image description
কুমিল্লার তনু হত্যা

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী এবং নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার পর দেশজুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছিল। সেই ঘটনার ৯ বছর পূর্ণ হলো আজ ২০ মার্চ। দীর্ঘদিনেও উদঘাটন হয়নি হত্যার রহস্য, শনাক্ত হয়নি খুনি। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছে পরিবার। মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার পেতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাত্ এবং প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে চান তনুর মা-বাবা।

তনুর স্বজনরা জানান, চার তদন্ত সংস্থার দপ্তর বদল হয়ে মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদর দপ্তর।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার পিবিআইর প্রধান কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত কার্যক্রম চলমান। আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের সদস্যরা সর্বশেষ ২০২০ সালে ঘটনাস্থল একবার পরিদর্শন করতে এসে কথা বলেছিলেন পরিবারের সঙ্গে। তার পর থেকে পরিবারের কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করে না তদন্তকারী সংস্থার কেউ। ফলে মামলার তদন্ত সম্পর্কে কিছুই জানে না পরিবার। দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে মেয়ে হত্যার বিচারের ভার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানালেন আনোয়ারা খাতুন।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, মেয়ে হত্যার ৯ বছর হলো; কিন্তু এই মামলার কোনো কূলকিনারা হয়নি। বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি আমাদের চোখে পড়ছে না। পিবিআই তদন্তভার পাওয়ার পর ভেবেছিলাম হত্যার বিচার পাব। কিন্তু এখনো খুনিই শনাক্ত হলো না। তারা মামলাটি ফেলে রেখেছে, কোনো কাজ করছে না।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি অসহায় এবং অর্থসম্পদ নেই বলে মামলার এই দুরবস্থা। মেয়ে হত্যার বিচার চাইতে আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করতে চাই। দেশবাসীর কাছে বিচার চাই।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কলেজছাত্রী এবং নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর পোশাক থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজনের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।