
প্রেমের সম্পর্ক থাকার সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কারও সঙ্গে যৌনকর্ম করলে তা আর ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে না । এ ধরনের যৌনকর্মকে আলাদা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজা দেওয়া হবে । নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে এমন বিধান করতে যাচ্ছে সরকার । আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
( সংশোধন ) অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে । প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে এই সভা হবে । দেশে ধর্ষণের ঘটনা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করতে খসড়া করে করে আইন ও বিচার বিভাগ ।
১৭ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় । অংশীজনদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করে খসড়াটি পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছিল উপদেষ্টা পরিষদ । এরপর খসড়া চূড়ান্ত করে আইন ও বিচার বিভাগ । চূড়ান্ত খসড়ায় বলা হয়েছে , প্রণয়ের সম্পর্ক থাকাকালে বিয়ের প্রলোভন বা অন্য প্রতারণার মাধ্যমে যৌনকর্ম করাকে ধর্ষণের আওতার বাইরে এনে পৃথক শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে শাস্তিযোগ্য করা হবে । এই অপরাধের জন্য শাস্তি কী হবে তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন । নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণ নিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খসড়া অধ্যাদেশে বিশেষ বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে । আলোচনার পর উপদেষ্টা পরিষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে । এ ছাড়া ধর্ষণের সংজ্ঞা সংশোধন করার পাশাপাশি শিশু বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে শাস্তিযোগ্য করা এবং শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধানও খসড়ায় রাখা হয়েছে । আইন সংশোধন করে ধর্ষণের মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমানো এবং ধর্ষণসহ নারী ও শিশুর ওপর সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসেবে অর্থদণ্ডের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব রেখে খসড়া চূড়ান্ত করা
হয়েছে । অপরাধের ধরনভেদে অর্থদণ্ডের পরিমাণ কী হবে , উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনার পর সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । বিচারক চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সনদের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলার বিচার ও তদন্তকাজ চালাতে পারবেন । এবং ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে যাঁকে নির্দিষ্ট করা হবে , তাঁকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে বলে চূড়ান্ত খসড়ায় বলা হয়েছে । ঈদে টানা ৯ দিন ছুটি : ৩১ মার্চ রোজার ঈদ ধরে নিয়ে ২৯ , ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল পাঁচ দিন ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা আছে । ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে ২৮ মার্চ শুক্রবার শবে কদরের ছুটি । এই হিসাবে ২৮ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছয় দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা । ছুটি শেষে আগামী ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অফিস খোলার কথা ছিল । ৪ ও ৫ এপ্রিল শুক্র - শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি । এখন ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় । উপদেষ্টা পরিষদ এই প্রস্তাব অনুমোদন করলে টানা ৯ দিন ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা । মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ঈদের ছুটি ৩ দিন থেকে বাড়িয়ে ৫ দিন করেছে ।