
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত এক্সিট প্ল্যান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের কাজে আসবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ চেম্বর অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআই'র সভাপতি আনোয়ার-উল আলম। তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক মানের এক্সিট প্লানের। তবে এতে ব্যাংকগুলো আর্থিক ক্ষতিতে পরলেও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম।
জ্বালানি সংকট, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ ও ডলারের চড়া দরসহ রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান ধুকছে। এতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পেরে হয়ে পড়েছেন খেলাপি। পরিস্থিতি উত্তোরণে খেলাপি ঋণ পরিশোধে এক্সিট প্লান চান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের এসব দাবি মাথায় রেখে, সম্প্রতি আনাদায়ী ঋণ আদায় বা এক্সিক সংক্রান্ত নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, মোট ঋণের ৫ শতাংশ নগদ প্রদান করে এক্সিক সুবিধা নিতে পারবেন খেলাপি হওয়া ব্যবসায়ীরা। আবেদনের দুই মাসের মধ্যেই নিষ্পত্তি করা হবে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিক নীতিমালায় সন্তুষ্ট নয় ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ চেম্বর অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআই'র সভাপতি আনোয়ার-উল আলম বলেন, এই নীতিমালার সুযোগ নিতে পারবেন না ব্যবাসায়ীরা। আন্তর্জাতিক মানের এক্সিট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর আবুল কাশেম বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্তে ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য ভালো নজির না হলেও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। তবে ১০ শতাংশ নগদ ডাউন পেমেন্ট ৫ শতাংশে নামিয়ে আনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ক্ষতিতে পারবে।