Image description

জামালপুরের ইসলামপুরে একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকে না ছাড়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ইসলামপুর থানার ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফ নিজেই এ অভিযোগ করেছেন। 

ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘একটি মারামারির মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন আব্দুল খালেক। গত রোববার রাত ২টার দিকে আব্দুল খালেককে গ্রেপ্তার করে থানায় আনার পর থেকেই তাঁকে ছাড়াতে তদবির করতে থাকেন যুবদল নেতা মলিন। আমি রাজি না হলে একসময় আমার মোবাইলফোনে কল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলির হুমকি দেন তিনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’   
তবে এ বিষয়ে জানতে এই প্রতিবেদক মঙ্গলবার বেলা ৩.৪০ মিনিটের দিকে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান মলিনের মোবাইলফোনে তিনবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।  

ইসলামপুর থানা পুলিশ জানায়, গত ১১ মার্চ উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ারচর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে মারধরের ঘটনা হয়। এ নিয়ে গত ১৬ মার্চ রাতে বেনুয়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আনিছুর রহমানকে প্রধান আসামি দিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বেনুয়ারচর বেপারীপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মিষ্টার আলী। রাত ২টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপ–পরিদর্শক (এসআই) মো. সামছুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি আব্দুল খালেককে নিজ বসতবাড়ি থেকে আটক করে।